মরসুমের গোড়ায় কেঁদেককিয়েও তার দেখা মিলছিল না। এখন একেবারে অতিথির হিড়িক পড়ে গিয়েছে বাংলায়! এক জন সবে বিদায় নিয়েছে। আর এক জন দুয়ারে কড়া নাড়ছে! ভরা বর্ষায় এ বার এমনই ‘অতিথিভাগ্য’ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, যে-অতিগভীর নিম্নচাপটি বুধবার রাতে কলকাতায় ঝড় বইয়েছে এবং বৃষ্টি নামিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে সে ছিল মধ্য ভারতের উপরে। তার ফলে এ দিন থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির দাপট কমেছে। উপগ্রহ-চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহবিদেরা বলছেন, চলতি সপ্তাহের শেষেই বঙ্গোপসাগরে ফের একটি নিম্নচাপ দানা বাঁধতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, এখন দিন তিনেক বৃষ্টি মিলবে না। ঝাড়খণ্ডেও আর ভারী বর্ষণের আশঙ্কা নেই। তবে নতুন নিম্নচাপটির দৌলতে রবিবার থেকে ফের শুরু হয়ে যেতে পারে বৃষ্টি।
মে-র তৃতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝ়ড় ‘রোয়ানু’র দাপটে বর্ষার ছন্দ তালগোল পাকিয়ে যায়। দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি বায়ুর পৌঁছতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। গোটা জুন ধরেই ঝিমিয়ে ছিল। বৃষ্টি-ঘাটতি পৌঁছেছিল ৩০ শতাংশে! জুলাই থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করে বর্ষা। অগস্টে এসে টি-টোয়েন্টির ধাঁচে ব্যাটিং শুরু করেছে বর্ষা।
দিল্লির মৌসম ভবন এ দিন বর্ষার সর্বশেষ যে-চিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ১ জুন থেকে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত গাঙ্গেয় রাজ্যে ৩% অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে উদ্বৃত্ত বর্ষার পরিমাণ ৪৩%। আবহাওয়া দফতরের এক বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে যে-বৃষ্টি হয়েছে, সেটা হিসেবে ধরলে উদ্বৃত্তের পরিমাণ আরও বেশি হতো।’’