SIR in West Bengal

এনুমারেশন পর্ব শেষ, খসড়া থেকে বাদ পড়তে পারেন কত জন? শুনানির জন্য ডাকা হবে কাদের? রইল পরিসংখ্যান

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে এনুমারেশন পর্বের শেষ দিন। ফলে বৃহস্পতিবার যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৮
Share:

পশ্চিমবঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হল বৃহস্পতিবার। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া ভোটারের সংখ্যা ৫০ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল আগেই। মৃত, স্থানান্তরিত এবং নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এনুমারেশন পর্ব শেষে মোট ৫৮ লক্ষ ৮ হাজার ২০২ জনের নাম বাদ পড়তে চলেছে। খসড়া তালিকাতে এই পরিসংখ্যানে সামান্য হেরফের হতে পারে। তবে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Advertisement

কমিশন সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এ ছাড়া, ১২ লক্ষ ১ হাজার ৪৬২ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কোনও ভোটারের খোঁজে সংশ্লিষ্ট বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও) যদি তাঁর বাড়ি থেকে তিন বার বা তার বেশি ঘুরে আসেন, কিন্তু ওই ভোটারের খোঁজ যদি তার পরেও না-পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে তাঁদের নিখোঁজ তালিকায় রাখা হয়।

এ ছাড়া, এ রাজ্যে মোট ১৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৭ জন ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। ফলে একটি জায়গায় রেখে বাকি জায়গা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৭৫ জন ভোটারকে কমিশন ‘ভুয়ো’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় থাকবে না। এ ছাড়া, আরও ৫৭ হাজার ৫০৯ জনকে রাখা হয়েছে ‘অন্যান্য’ তালিকায়। তাঁরাও বাদ পড়তে চলেছেন।

Advertisement

আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে পশ্চিমবঙ্গে। সেই তালিকায় কোনও অভিযোগ থাকলে, ত্রুটি থাকলে কমিশনকে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে হবে শুনানি। তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে দেখে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করবে কমিশন। তা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সূত্রের খবর, ভোটারদের মোট তিনটি তালিকায় ভাগ করেছে কমিশন— নিজস্ব ম্যাপিং, প্রজিনি ম্যাপিং এবং নন-ম্যাপিং। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (রাজ্যে শেষ বার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে) যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা নিজস্ব ম্যাপিংয়ের তালিকায় পড়ছেন। এমন ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৮৮ জন ভোটারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় না-থাকলেও বাবা-মা বা আত্মীয়ের নাম আছে, তাঁরা প্রজিনি ম্যাপিং তালিকায় রয়েছেন। রাজ্যে তেমন ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৩৯ জন। এ ছাড়া, ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাঁদের নিজেদের নাম বা আত্মীয়ের নামও ২০০২ সালের তালিকায় নেই। তাঁরা নন-ম্যাপিং তালিকাভুক্ত। এই তৃতীয় তালিকার সকলকেই কমিশনের তরফে শুনানিতে ডাকা হবে। তাঁদের তথ্যপ্রমাণ, নথি যাচাই করে দেখা হবে। এ ছাড়া, প্রথম দুই তালিকার ভোটারদের মধ্যে কারও তথ্যে সন্দেহ থাকলে তাঁদের শুনানিতে ডাকা হতে পারে।

গত ৪ নভেম্বর থেকে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাতটি রাজ্যে এই প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। সবচেয়ে বেশি সময় দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশকে। তবে পশ্চিমবঙ্গের সময়সীমা আর বাড়ানো হয়নি। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী এই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement