ভাগীরথীর জলে প্লাবিত মায়াপুরের ইস্কন চত্বর। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
দুর্যোগ থেকে রেহাই তো দূর, বন্যা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। রবিবার নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা। নানা জেলায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের।
পশ্চিম মেদিনীপুরে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ঘাটালে। এ দিন চন্দ্রকোনায় দু’জায়গায় শীলাবতীর বাঁধ ভেঙে প্রায় ৩০টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পাঁশকুড়ায় ক্ষীরাইয়ের বাঁধ ভেঙে পড়েছিল আগেই। এ দিন তা মেরামতির কাজ শুরু হয়। বর্ধমানের বুদবুদে খড়ি নদীর জল উপচে নতুন করে বেশ কিছু গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। জল বেড়েছে কালনা, কাটোয়ার নানা গ্রামেও। একই পরিস্থিতি হাও়ড়া, হুগলির বহু জায়গাতেও।
দেওয়াল ধসে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বর্ধমান জেলায়। মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন এক বৃদ্ধা। ফরাক্কায় বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দেড় বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিন জেলায়-জেলায় যান নেতা-মন্ত্রীরা। হাবড়া, স্বরূপনগর, গাইঘাটায় যান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ঘাটালে গিয়ে নৌকায় চেপে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বাঁকুড়ায় গিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মসলন্দপুরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
নানা ব্যারাজ থেকে নতুন করে জল ছাড়ার খবর মেলার কারণেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে এ দিন জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। বীরভূমের নানা ব্যারাজ থেকেও আরও জল ছাড়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ত্রাণসামগ্রী মেলা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে বহু এলাকায়। বর্ধমানের কাটোয়া, রায়না, জামালপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, সীতারামপুরে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।