ভাদ্রে নরম সুর বর্ষার

অগস্টেই জোরালো বৃষ্টিতে বন্যা হয়েছিল উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। ফের মৌসুমি অক্ষরেখা হাজির হওয়ায় জোরালো বৃষ্টির আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছিলেন মানুষজন। রবিবার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস শুনে হাঁপ ছেড়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী এবং প্রশাসনিক কর্তারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০৯
Share:

শ্রাবণের প্রায় পুরোটা জুড়েই দাপটে গেয়েছে সে। ভরা ভাদ্রে এসে এ বার কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বর্ষা। আপাতত বর্ষারানির সুর অনেকটা নরম। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আজ, সোমবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও তেমন বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই।

Advertisement

অগস্টেই জোরালো বৃষ্টিতে বন্যা হয়েছিল উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। ফের মৌসুমি অক্ষরেখা হাজির হওয়ায় জোরালো বৃষ্টির আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছিলেন মানুষজন। রবিবার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস শুনে হাঁপ ছেড়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী এবং প্রশাসনিক কর্তারাও।

কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মৌসুমি অক্ষরেখাটি হিমালয়ের পাদদেশে রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমায় দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে হয়রানির আশঙ্কা আছে।

Advertisement

আবহবিদেরা বলছেন, রোদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমই ভাদ্রের চরিত্র। সেই হিসেবে প্রকৃতি যেন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে। সেই ছন্দে বৃষ্টিও থাকে। এক আবহবিজ্ঞানীর ব্যাখ্যা, এই সময়ে বাতাসে বাড়তি জলীয় বাষ্প থাকে। চড়া রোদে সেই বাষ্প গরম হয়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে ওঠে এবং ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করে। তার ফলে কোনও কোনও এলাকায় স্থানীয় ভাবে দু’-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই বৃষ্টি একটানা চলবে না বা খুব বড় এলাকা জু়ড়েও হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement