ব্রাহ্মণ ট্রাস্টে আশ্বাস মমতার দূত রাজীবের

পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট নিজেদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে‌ বুধবার দক্ষিণেশ্বরে এক সমাবেশের আয়োজন করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৬
Share:

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

কয়েক দিন আগেই বোলপুরে পুরোহিত সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ বার পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের আমন্ত্রণে তাঁর এক মন্ত্রীকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রাস্টের উদ্দেশে একটি শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠিয়েছেন তিনি।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট নিজেদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে‌ বুধবার দক্ষিণেশ্বরে এক সমাবেশের আয়োজন করেছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটি পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান গোপাল সাহা।

এ দিন রাজীবের মাধ্যমেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র পাঠান ট্রাস্টের সদস্যেরা। সম্পাদক শ্রীধর মিশ্র জানান, পঞ্চম শ্রেণি থেকে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা চালু করা, প্রতিটি পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায় টোল তৈরি করে সেখানে ব্রাহ্মণ সন্তানদের সরকারি সহযোগিতায় পড়াশোনা, প্রবীণ পুরোহিত ও পূজকদের মাসিক ভাতা, জেলায় সংস্কৃত কলেজ স্থাপন-সহ ন’টি দাবি রয়েছে। রাজীববাবু বলেন, ‘‘কিছু লোক হিন্দুত্বের নামে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছে। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সব ধর্মের মানুষই সমান। তাই এই সব দাবিও তিনি নিশ্চিত ভাবে বিবেচনা করবেন, এই ভরসা রাখুন।’’ এ দিন ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের স্থায়ী কার্যালয়, আশ্রম, বৃদ্ধাবাস তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই মেচেদায় তিন বিঘা জমি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

এ দিন বাবুঘাটে বিবেক চেতনা উৎসবের সূচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, হিন্দু ধর্মের প্রতি ভালবাসা থাকলে গঙ্গাসাগর, বিবেকানন্দ, নেতাজিকে নিয়ে ভাগবাঁটোয়ারা করা হচ্ছে কেন? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘দেশটা বাঁটোয়ারা করে চলে না। সকলকে সমান জায়গা দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার চোখ না-খুলে ধর্ম ধর্ম করে চিৎকার করছে। চোখটা খোলো। ধর্মের জন্য কী করেছ? শুধু সবার মধ্যে দাঙ্গা লাগাচ্ছ।’’

দক্ষিণেশ্বর মন্দির এবং বেলুড় মঠের উন্নয়নে রাজ্য সরকার ১৯ কোটি টাকা করে আর্থিক অনুদান দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র কী করেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কুম্ভমেলা কয়েক বছর অন্তর হয়, তার জন্য কেন্দ্র অনেক কিছু করে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগর মেলায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হওয়া সত্ত্বেও এই মেলার জন্য কেন্দ্র বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন