দীর্ঘদিন ধরে আইএএস-আইপিএস অফিসারের খরা চলছে পশ্চিমবঙ্গে। এই অবস্থায় আমলা তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন।
রবিবার নরেন্দ্রপুরে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গটি তোলেন ওই স্কুলের প্রাক্তনী এবং রাজ্যের পরিবহণসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ (রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক)-কে অনুরোধ করেছি, আইএএস, আইপিএস প্রশিক্ষণ-সহ রাষ্ট্র গঠনের জন্য যদি একটা ইনস্টিটিউট করেন, তা হলে উপকার হয়।’’
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সর্বালোকানন্দের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তাঁরাও এই ধরনের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়তে আগ্রহী। তাঁর কথায়, ‘‘আইএএস, আইপিএস, আইএফএসে সে-ভাবে বাঙালিদের দেখা যাচ্ছে না। এই ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানের কথা দু’-এক বছর ধরে আমাদেরও চিন্তাভাবনার মধ্যে আছে। আজ উনি (আলাপন) বলেছেন। কবে সেটা হবে, তা স্থির হয়নি।’’
আমলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে আছে, এ দিনের অনুষ্ঠানে সেই আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
এ দিনই মিউটেশন পেয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৬ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে ওই মিশন আশ্রমের জমি। এ দিন সেই জমির মিউটেশন বা নামজারি সংক্রান্ত নথিপত্র মিশন-কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব ঘোষ। পরে তিনি জানান, ওই জমির খাজনাও মকুব করা হয়েছে।