—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রীর সঙ্গে ছোট ভাইয়ের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন যুবক। দেওর-বৌদির ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে বাড়িতেও বেশ কয়েক বার অশান্তি হয়েছিল। তার মধ্যেই জমি নিয়ে নতুন করে বিবাদ বাধে দুই ভাইয়ের। বচসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাইকে খুন করেন দাদা। ঘটনার ১৭ বছর পরে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। শনিবার আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ রানাঘাট মহকুমা আদালতের।
আদালত সূত্রে খবর, ২০০৮ সালের ২৫ মার্চ রানাঘাটের ধানতলার বাসিন্দা নিখিল চিন্তাপাত্র খুন হন। খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর দাদা অখিল চিন্তাপাত্রের বিরুদ্ধে। পরিবার জানায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে জমি সংক্রান্ত বিবাদ তো ছিলই, তার সঙ্গে ছিল স্ত্রীকে নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দাদার গন্ডগোল। ঘটনার রাতে বাড়ির উঠোনে নিখিলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন অখিল। ভাইয়ের মৃত্যুর পরের দিন দাদার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন বোন উর্মিলা বিশ্বাস। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় অখিলকে।
ওই মামলায় দীর্ঘ তদন্তপ্রক্রিয়া শেষে পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছে আদালতে। মোট ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ঘটনার ১৭ বছর পর শনিবার রানাঘাট মহকুমা আদালত রায় ঘোষণা করেছে। বিচারক সৌমেন সেনগুপ্ত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
সরকারি আইনজীবী নবেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘সামান্য কারণে ভাইকে খুন করেছেন অখিল। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিখিলকে। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, আগেই মারা গিয়েছেন তিনি। আমরা খুনের সমস্ত প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে আসামিকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।’’ অন্য দিকে, অখিলের আইনজীবী শুভম শর্মা জানিয়েছেন, এই রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা করবেন তাঁরা।