বধূ-ধর্ষণে দণ্ডিত মুক্ত  হাইকোর্টে

সাধনের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল ও সুবীর দেবনাথ জানান, ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল কৃষ্ণনগর ও বাহাদুরপুর স্টেশনের মাঝখানে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় টুম্পা রায় নামে ওই বধূর। রেল পুলিশ জানায়, অবসাদে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৫:৪৭
Share:

কলকাতা হাইকোর্ট

নদিয়ার এক গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় সাধন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি রবিকৃষণ কপূরের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার তাঁকে বেকসুর মুক্তি দিল।

Advertisement

সাধনের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল ও সুবীর দেবনাথ জানান, ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল কৃষ্ণনগর ও বাহাদুরপুর স্টেশনের মাঝখানে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় টুম্পা রায় নামে ওই বধূর। রেল পুলিশ জানায়, অবসাদে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা। তাঁর স্বামী রঞ্জন রায় বা বাবা রতন সরকার রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি। আইনজীবীরা জানান, আট দিন পরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করা হয়, টুম্পাকে বা়ড়ির শৌচাগারে ধর্ষণ করেছেন প্রতিবেশী সাধন। রঞ্জন স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে আসেন। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ সাধনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করে। নদিয়া জেলা আদালত ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

সাধনের কৌঁসুলিরা এ দিন সওয়াল করেন, টুম্পা অবসাদে ভুগছিলেন। রঞ্জন রেল পুলিশ বা কোতোয়ালি পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। পুলিশ সুপারের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর নথি আদালতে পেশ করা হয়নি। বিচারক মামলার ১৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য বিশ্বাস করতে পারেননি বলে রায়ে জানিয়েছেন। মহিলাকে যে ধর্ষণ করা হয়েছিল, ময়না-তদন্তের রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই।

Advertisement

সরকরি কৌঁসুলি পার্থপ্রতিম দাস জানান, রঞ্জন পুলিশকে যা জানান, তার ভিত্তিতেই তদন্ত হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement