উপাচার্য রতনলাল হাংলু
আইন অনুযায়ী কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে। কারণ আচার্যই তাঁর নিয়োগ-কর্তা। রাজ্যপাল পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করায় হাংলু নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শনিবার জানিয়ে দিলেন, রাজ্যপাল নয়, হাংলু কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকবেন কি না, তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার।
পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘ছাত্রদের ভর্তির ‘ফি’ না কমালে হাংলু হোক আর যে-ই হোক, তাঁকে রাখব না।’’ গত বুধবার রাত থেকে ভর্তির ফি কমানোর দাবিতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলুকে ঘেরাও করে রাখেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। রাজ্যপাল সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দেওয়ার পরেও শিক্ষামন্ত্রী কী ভাবে এমন কথা বলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের মন্তব্য, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কত হবে, তা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। রাজ্য সরকারের এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার এক্তিয়ারই নেই। আর নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকার কোনও ভাবেই কোনও উপাচার্যকে নিয়োগ করতে পারে না কিংবা তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে পারে না। উপাচার্য নিজে থেকে পদত্যাগ করলে অবশ্য অন্য কথা। সে ক্ষেত্রে তিনি আচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাবেন। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নয়। যেমন হাংলু করেছেন।’’ শিক্ষামন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ওই শিক্ষক।
কমছে ফি
ফি কমানোর পথে হাঁটল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার সন্ধ্যায় সুপারিশ কমিটির চার সদস্য ফি কমানোর বিষয়ে আলোচনায় বসেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। সেখানে ফি কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সোমবার ওই ব্যাপারে উপাচার্য রতনলাল হাংলুর কাছে সুপারিশ করবেন বলে জানান কমিটির সদস্যেরা। তবে কতটা কমানো হল তা সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করবেন উপাচার্য।