বেতন কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত, সুখবর পুজোর আগেই?

আপাতত যা ইঙ্গিত, তাতে সব মিলিয়ে ১৪.৩% বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করতে পারে অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৯ ০৩:৩১
Share:

পুজোর আগেই সুখবর পেতে পারেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তার পর বেতন কমিশনে রিপোর্ট জমা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের অন্দরের খবর, দু’টি ভাগে রিপোর্ট লেখার কাজ প্রায় শেষ। নতুন কোনও ‘বিপত্তি’ না-হলে জুলাই-অগস্টের মধ্যেই রিপোর্ট জমা পড়তে পারে। অভিরূপবাবুর কথায়,‘‘আমার রিপোর্ট তৈরি। দ্রুত তা জমা পড়বে। তবে ঠিক কবে, তা বলছি না।’’

বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ার পরে অর্থ দফতর ‘ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি’ তৈরি করবে। সেই কমিটি মাসখানেকের মধ্যে রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাউন্স (রোপা), ২০১৯ প্রকাশ করে দিলে পুজোর মধ্যেই নতুন বেতন কমিশন চালু করে দেওয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের একাংশ।

Advertisement

আপাতত যা ইঙ্গিত, তাতে সব মিলিয়ে ১৪.৩% বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করতে পারে অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তাতে সরকারের ঘাড়ে অন্তত ১২ হাজার কোটির দায় চাপতে পারে। অর্থ কর্তাদের বক্তব্য,‘‘সরকার চাইলে এই চাপ সয়ে নেওয়া যাবে।’’

কমিশন সাড়ে তিন লক্ষ কর্মচারীর সঙ্গে সরকার পোষিত ৫৪টি সংস্থার কর্মীর বেতন কাঠামোও সুপারিশ করবে। এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা, পঞ্চায়েত-পুর কর্মী থেকে বিভিন্ন কমিশন, পর্ষদ, নিগম রয়েছে। এ ছাড়াও ৬৯টি রাজ্য সরকার অধীনস্থ সংস্থার কর্মীদেরও নতুন বেতনক্রম প্রস্তাব করে রিপোর্ট দেবে কমিশন।

গত লোকসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের ৭৫ ভাগ ভোট গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। তার পরেই তৃণমূলের সরকারি কর্মীদের সংগঠনের ভার দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। সূত্রের খবর, কর্মীদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেই তিনি বুঝেছেন বেতন না-বাড়ার ফলেই কর্মীরা সরকারের উপর ক্ষিপ্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি এ নিয়ে রিপোর্ট দেন। তার পরেই বিকাশ ভবনে সক্রিয় হয়ে ওঠে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন