Murshidabad Unrest

মুর্শিদাবাদ: ‘মহিলারা ভীত-সন্ত্রস্ত’, অশান্তির এলাকা ঘুরে দেখে বলল মহিলা কমিশন, রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রকে

মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকার মহিলারা ভীত-সন্ত্রস্ত। তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করতে অনেক কাজ করতে হবে বলে জানাল জাতীয় মহিলা কমিশন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৭
Share:

জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর ছবি: সংগৃহীত।

মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকার মহিলারা ভীত-সন্ত্রস্ত। তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করতে অনেক কাজ করতে হবে বলে জানাল জাতীয় মহিলা কমিশন। শনিবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, শমসেরগঞ্জে গিয়েছিলেন কমিশনের সদস্যেরা। সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে এসে রবিবার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের বাস্তব পরিস্থিতির রিপোর্ট দেওয়া হবে কেন্দ্রকে।’’

Advertisement

শনিবার মহিলা কমিশনের সদস্যেরা জেলার হিংসাবিধ্বস্ত এলাকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাঁরা এলাকায় যেতেই স্থানীয় মহিলাদের একাংশ পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না, চাই নিরাপত্তা।’’ এলাকায় স্থায়ী বিএসএফের শিবির করারও দাবি তোলেন মহিলাদের একাংশ।

রবিবার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া বলেন, ‘‘মহিলারা বলছিলেন, বিএসএফের জন্যই ওঁরা বেঁচে রয়েছেন। আমরা যেখানেই গিয়েছি, মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছি, ওঁদের রাগে কেঁপে উঠেছি আমরা। ওঁদের সব স্বপ্ন শেষ। ওঁরা সব হারিয়েছেন। ওঁরা শুধু একটাই কথা জিজ্ঞেস করছিলেন যে, ওঁদের কী দোষ? এক মহিলা কয়েক দিন আগেই এক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তাঁকে ঘর ছাড়তে হয়েছে!’’ প্রসঙ্গত, অশান্তির জেরে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, শমসেরগঞ্জ এবং সুতির বহু বাসিন্দা এখনও ঘরছাড়া। গঙ্গা পেরিয়ে ও পারে মালদহে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। প্রশাসনের উদ্যোগে তাঁদের অনেককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু ঘরছাড়ারা সকলে এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি বলেই দাবি স্থানীয় সূত্রে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকায় মহিলা কমিশনের পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও গিয়েছিল। গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও, যা নিয়ে সুর চড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘কে সেখানে যাবেন, সেটা আদালত দেখবে। রাজ্যপাল তো বটেই, দিল্লি থেকে আসা দুই কমিশনও বিজেপির রাজনৈতিক লক্ষ্যপূরণে সাহায্যের চেষ্টা করছে। সন্দেশখালিতে আমরা যা দেখেছি, এখানেও পরে তা সামনে আসবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement