হাজিরা: আদালত চত্বরে ঋতব্রত। নিজস্ব চিত্র
ধর্ষণ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগের দু’টি মামলায় জামিন পেলেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ঋতব্রত। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক হৃদয়াতুল্লা ভুটিয়া ধর্ষণের মামলায় সাংসদের পাঁচ হাজার টাকার জামিন মঞ্জুর করেন।
বালুরঘাটের তরুণী নম্রতা দত্ত, গত ১০ অক্টোবর ঋতব্রতর বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলায় ৩ নভেম্বর সিজেএম কোর্টের বিচারক অভিযুক্ত সাংসদকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন দিয়েছিলেন। এরপর ৭ নভেম্বর নম্রতা ফের ঋতব্রত ও তার বান্ধবী দুর্বা সেনের বিরুদ্ধে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি এবং মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলায় সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায় ও অর্চনা মজুমদারের বিরুদ্ধেও নালিশ জানানো হয়েছিল।
জেলা জজকোর্টে হুমকি ফোনের মামলায় শুনানিতে সরকারি আইনজীবী সুভাষ চাকি ঋতব্রতকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জেলা জজ সুদেব মিত্র বলেন, ওই ধরনের অভিযোগ সরাসরি পুলিশের কাছে করা যায় না। তা ছাড়া ফোনে হুমকির মামলাটি ‘প্রিম্যাচিওর’ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়ে জেলাজজ ওই মামলায় অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেন।
নম্রতার দাবি মেনে সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে এই মামলায় বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই মামলায় এমন বহু বৈদ্যুতিন তথ্য রয়েছে যা প্রকাশ্যে আসা দরকার। নম্রতার বক্তব্য, দীর্ঘ দিন তিনি বিদেশে থাকার সময় নানা অ্যাপ-এ অভিযুক্তের সঙ্গে কথোপকথন হয়েছে। বিভাসবাবুও বলেন, ‘‘এই মামলার বেশির ভাগ প্রামাণ্য নথিই সাইবার সংক্রান্ত। সেগুলি যথাযথ ভাবে পেশ করা দরকার।’’
ঋতব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘কোনও প্রামাণ্য নথি ছাড়া কী ভাবে এই মামলা শুরু করা যায় তা ভেবেই অবাক লাগছে।’’