দু’দিন ধরে পথ রুদ্ধ শিল্পাঞ্চলে, জানে না পুলিশ

তোলাবাজির প্রতিবাদে রাস্তায় অবরোধের জেরে রবিবারও শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল অবরুদ্ধই হয়ে থাকল। এর ফলে শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে এ দিন বাইরে থেকে পাথর বোঝাই করার জন্য আসা প্রায় দুশো লরি শিল্পাঞ্চলে না ঢুকতে পেয়ে মাঝপথে ঘুরে চলে যায়। রামপুরহাটের মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, ‘‘হস্তিকাঁদা মোড়ে বেআইনি ভাবে লরি থেকে টাকা তোলা হয়, এই অভিযোগ পেয়ে আগেই এসডিপিও-কে বিষয়টি দেখতে বলেছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৫ ০২:১৬
Share:

তোলাবাজির প্রতিবাদে রাস্তায় অবরোধের জেরে রবিবারও শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল অবরুদ্ধই হয়ে থাকল। এর ফলে শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে এ দিন বাইরে থেকে পাথর বোঝাই করার জন্য আসা প্রায় দুশো লরি শিল্পাঞ্চলে না ঢুকতে পেয়ে মাঝপথে ঘুরে চলে যায়। রামপুরহাটের মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, ‘‘হস্তিকাঁদা মোড়ে বেআইনি ভাবে লরি থেকে টাকা তোলা হয়, এই অভিযোগ পেয়ে আগেই এসডিপিও-কে বিষয়টি দেখতে বলেছি। গতকাল থেকে অবরোধ চলছে। অবরোধ তোলার ব্যপারে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে খোঁজ নেব।’’

Advertisement

ঘটনা হল, কাষ্টগড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ আম্বা মোড়–ঠাকুরপুরা রাস্তার উপর কাষ্টগড়া গ্রাম সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠ এলাকায় শনিবার সকাল থেকে পথ অররোধ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হস্তিকাঁদা মোড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে পাথর ভর্তি করে ফেরার সময় বেশ কয়েকটি লরি চালকের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করছিল কয়েকজন যুবক। কাষ্টগড়া গ্রামের কয়েকজন যুবক এর প্রতিবাদ করলে ওই যুবকদের বচসা বেধে যায়। এরই প্রতিবাদে কাষ্টগড়া গ্রামে শনিবার সকালে রাস্তা অবরোধ করেন ওই গ্রামবাসীদের একাংশ। সেই অবরোধ চলে রবিবারও। পুলিশ অবরোধ তোলার জন্য এলাকায় গেলেও অবরোধ তুলতে পারেনি।

এ দিন অবরোধকারীদের পক্ষে কাষ্টগড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘‘হস্তিকাঁদা মোড়ে তোলাবাজি বন্ধে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করে প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তোলা হবে।’’ তাঁর দাবি, হস্তিকাঁদা মোড়ে কয়েকজন যুবক পাথর শিল্পাঞ্চলে পাথর ভর্তি করতে বাইরে থেকে আসা লরিচালকদের কাছ থেকে জোর করে, মারধর করে প্রায় দিন তোলাবাজি করছে। এর ফলে লরি চালকরা আর্থিক এবং মানসিক দিক থেকে অসহায় বোধ করে এলাকাবাসীর দ্বারস্থ হচ্ছেন।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনকে একাধিক বার এ ব্যপারে বলা সত্ত্বেও ওই সমস্ত তোলাবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবার তোলাবাজির প্রতিবাদে এলাকার যুবকরা প্রতিবাদ করলে ঝামেলা বেধে যায়। তারই জেরে তোলাবাজি বন্ধের দাবিতে পথ অবরোধ চলছে।

এ দিকে পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার ঘন্টা দুয়েক শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতি নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সমিতির সভাপতি শক্তি চক্রবর্তী, সম্পাদক বরূন রায় এবং পরিচালন সমিতির ২৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদক বরুন রায় বলেন, ‘‘তোলাবাজি বন্ধের ব্যাপারে নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি অবরোধ তোলার ব্যাপারে ও প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক এটাই আমরা চাইছি। কারণ তোলাবাজি বন্ধ করা এবং অবরোধ তুলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সাহায্য করতে রাজি আছি।’’

কাষ্টগড়া অঞ্চলের প্রধান, তৃণমূলের নিয়ামত সেখ বলেন, ‘‘এলাকায় তোলাবাজি বা অন্যান্য অপরাধমূলক কাজ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রেও পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করতে রাজি আছি।’’ মহকুমাশাসক দাবি করছেন, তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অথচ, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জোবি থমাস কে এ দিন বলেন, ‘‘শনিবার থেকে রাস্তা অবরোধ আছে সে খবর আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন