প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে ফি-বছর এক দফা রাস্তা সারানোর, অন্তত জোড়াতাপ্পি দেওয়ার তোড়জোড় দেখা যায়। গণতন্ত্রের সব চেয়ে বড় উৎসব লোকসভা নির্বাচনের মুখেও রাস্তা নিয়ে বিশেষ ভাবে তৎপর হয়েছে পূর্ত দফতর। তাদের রাস্তায় গর্ত অথবা খানাখন্দ থাকলে ইঞ্জিনিয়ারদের রেহাই নেই। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে নির্দেশিকা জারি করেছেন পূর্তসচিব অর্ণব রায়।
ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, পূর্ত দফতরের রাস্তা দ্রুত সারাই করতে বলা হয়েছিল গত ১৫ জানুয়ারি। কিন্তু এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বহু রাস্তায় গর্ত রয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় খানাখন্দে ভরা রাস্তা সারাতে দফতরের প্রশাসনিক খরচের তহবিল থেকে টাকা নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন পূর্তসচিব। ১৫ দিন অন্তর কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে সরকারকে। এ বিষয়ে সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব দিয়েছে নবান্ন। নির্দেশমতো কাজ না-হলে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্ণববাবু।
পূর্ত দফতরের খবর, অনেক ক্ষেত্রে ভাঙাচোরা রাস্তা সারাইয়ের জন্য দরপত্র ডেকে ঠিকাদার পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই দ্রুত কাজ সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এমন অজুহাত সরকার আর শুনবে না বলে পূর্তসচিবের নির্দেশে জানানো হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, মাস দুয়েকের মধ্যেই লোকসভা ভোট। তখন সারাই করা যাবে না। তাই ভোট ঘোষণার আগেই রাস্তার কাজ শেষ করার নির্দেশ এসেছে নবান্নের উপর তলা থেকে। পূর্তসচিব সেই জন্যই ইঞ্জিনিয়ারদের উপরে দায়ভার চাপিয়ে জোরকদমে রাস্তা মেরামতির কাজ নামাতে চাইছেন বলে মনে করছেন পূর্ত দফতরের একাংশ।