দেগঙ্গায় উদ্ধার হওয়া পচা মাংস।—নিজস্ব চিত্র।
দেগঙ্গায় মৃত পশুর মাংস পাচারের ঘটনায় তদন্তে নামল রাজ্য সরকারের প্রাণী সম্পদবিকাশ দফতর। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেশ কয়েকজন অফিসার। বাজেয়াপ্ত হওয়া মাংস তারা সংগ্রহ করে ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই নড়চড়ে বসেছে জেলা পুলিশ এবং প্রাণি সম্পদ বিকাশ দফতরের অফিসারেরা।
দেগঙ্গার ক্ষুদ্রমণ্ডলগাঁতি এলাকায় কবে থেকে এই মাংস পাচারের কারবার চলছিল? কারা এই ঘটনায় যুক্ত, সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দেগঙ্গা থানার পুলিশ ভাগাড়-কাণ্ডে একজন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, তাঁকে চারশো টাকা মজুরি দিয়ে কাজে নিয়ে ছিল টিটাগড়ের ব্যবসায়ী ইকবাল আনসারি।
দেগঙ্গায় ভাগাড়-কাণ্ড সামনে আসার পরই গা ঢাকা দিয়েছে ইকবাল। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পায়নি জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আবার ভাগাড়ের মাংসের কারবার! এ বার দেগঙ্গায়
আরও পড়ুন: মাগুর মাছের খাবার তৈরির আড়ালে ভাগাড়ের মাংস পাচার!
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাস ছ’য়েক আগে থেকেই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি। উল্টে গ্রামবাসীদেরই ধমক দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই সোমবার রাতে পচা মাংস পাচারের সময় গাড়ি আটক করে ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। মাগুর মাছের খাবার তৈরির করার আড়ালে ভাগাড়ের মাংস পাচার করা হচ্ছিল মধ্যমগ্রাম, এয়ারপোর্ট এবং কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে, এমনই অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলে আরও তথ্যও পাওয়া যাবে।