ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের হাতে এ বার আক্রান্ত রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীর উপর হামলা হল কাকদ্বীপে। ভেঙে তছনছ করা হল বিজেপি নেত্রীর গাড়ি। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত নিয়ে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন রূপা।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে এক আক্রান্ত দলীয় কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। নির্বাচনে ঈশ্বরীপুর গ্রামের বুথে বিজেপির এজেন্ট হওয়ার জেরেই তৃণমূলের হাতে ওই তিনি আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। ওই বিজেপি কর্মীর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও মারধর করা হয়েছিল।
ভেঙে তছনছ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
তবে পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকেই এখনও খুঁজে পায়নি। রবিবার কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর পরিবারকে রূপা নিজের গাড়িতে করে ঈশ্বরীপুর পৌঁছে দিতে যান। গ্রামে পৌঁছে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিজনরা এক অভিযুক্তকে দেখতে পান এবং রূপাকে তা সঙ্গে সঙ্গে জানান। মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অবিলম্বে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার দাবি তোলেন পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ খুব একটা সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ। সেই ফাঁকে অভিযুক্ত পালিয়েও যায়।
আরও পড়ুন:
মধ্যরাতে সিপিএম প্রার্থী শতরূপের বাড়িতে হামলার অভিযোগ
রূপা অবশ্য নির্বিঘ্নে ঈশ্বরীপুর ছাড়তে পারেননি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলের লোকজন লাঠি, রড, ইট নিয়ে হামলা চালায় তাঁর উপর। শুভ্রাংশু কামার ওরফে বাবুসোনা নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে রূপার উপর চড়াও হন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি নেত্রীর গাড়ি ভেঙে তছনছ করে তারা। মারধর করা হয় রূপাকেও। মাথায়, কোমরে এবং হাতে চোট পান তিনি। জখম হন আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। জখম নেত্রীকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। তবে মাথায় আঘাত থাকায় তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।