কাঁকড়ার কামড়েই গঙ্গা পেরিয়ে হাওড়ায় প্রার্থী রূপা

কাঁকড়ার কামড় খেয়ে গঙ্গা পার হয়ে হাওড়ায় যেতে হল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলের সভাপতি অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে স্থির হল, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে হাওড়া উত্তরের প্রার্থী করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৬ ১৭:০৭
Share:

কাঁকড়ার কামড় খেয়ে গঙ্গা পার হয়ে হাওড়ায় যেতে হল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে।

Advertisement

আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলের সভাপতি অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে স্থির হল, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে হাওড়া উত্তরের প্রার্থী করা হবে। লক্ষ্মীরতন শুক্লর বিরুদ্ধে এখন লড়তে হবে তাঁকে। দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিংহ প্রার্থী হচ্ছেন জোড়াসাঁকো থেকে। দুধকুমার মণ্ডল রামপুরহাট আর ব্যারাকপুর থেকে দলের যুব মোর্চার প্রাক্তন নেতা অমিতাভ রায়, ইংলিশ বাজারে সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দননগর থেকে চন্দন মিত্রকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল দল। কিন্তু জেতার সম্ভাবনা নেই বলে তিনি পিছিয়ে এসেছেন। যার ফলে চন্দননগরে প্রার্থী আজ ঘোষণাও হয়নি।

বিজেপি সূত্রের মতে, রূপাও যে তাঁর আসন বাছাই নিয়ে খুব একটা খুশি, এমন নয়। আজ বৈঠকের পরেও রূপার জন্য দুটি আসনের বিকল্প রাখা হয়েছিল। একটি হাওড়া উত্তর ও আর একটি সাতগাছিয়া। বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা শিবপ্রকাশ দিল্লি থেকে রূপাকে ফোন করেন। রূপা আজ অবশ্য তাতে অমত করেননি। কিন্তু দলের এক নেতা জানান, প্রথমে রাহুল সিংহের জোড়াসাঁকো আসন কিংবা রাসবিহারীর মতো আসন চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পছন্দের সেই আসনগুলি তাঁকে দেওয়া হয়নি। রূপা ভেবেছিলেন, প্রথম তালিকা ঘোষণার আগেই তাঁকে তাঁর পছন্দের কতগুলি আসন বেছে নিতে বলা হবে। তাঁকে সামনে রেখে ভোট করা হবে। কিন্তু তাঁর নাম একেবারে শেষে ঘোষণা করা হল। প্রত্যাশামাফিক ঢাকঢোল না পিটিয়ে কতকটা নিঃশব্দে।

Advertisement

আরও পড়ুন

মমতার বিরুদ্ধে ভবানীপুরে জোটের প্রার্থী দীপাই

আনন্দবাজার ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিছু দিন আগে রূপা বলেছিলেন, তাঁর দল বিজেপিতেও কাঁকড়া রয়েছে। আর তার কামড়ও খেয়েছেন। যার অর্থ, দলের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে অনেকে সক্রিয় ছিলেন। রূপা অবশ্য আজ এই বিষয়টি লঘু করে বলেন, ‘‘ভুলে যাবেন না, আমি রাজনীতিতে এসেছি মাত্র এক বছর আগে। বিজেপি একটি জাতীয় দল। ফলে দলের প্রবীণ নেতারাও আমাকে পরখ করে নিতে চাইবেন। দলের যোগ্য ও সিনিয়র নেতারা যদি কোনও আসনে দাঁড়াতে চান, তা হলে তো আমার সরে দাঁড়ানোই উচিত।’’

কিন্তু বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, সব দিক ভেবেই রূপাকে হাওড়া উত্তর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিজেপি চাইছে, জেলাগুলিতেও একটু ওজনদার ব্যক্তি থাকুন। সবাই মিলে কলকাতায় ভিড় করে তো লাভ নেই। যেমন লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও জেলায় পাঠানো হয়েছে। আসানসোলে কারগিল যুদ্ধে লড়াই করা কর্নেল দীপ্তিমান চৌধুরীকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হচ্ছে। আজ দিল্লিতে তাঁকে ডেকেও পাঠানো হয়েছে।

এই মুহূর্তে কোনও সমীক্ষাই বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে যেখানে ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না, সেই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীরতন শুক্লর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী রূপা?

রূপা বলেন, ‘‘হারি-জিতি আমি পাঁচ বছর এই কেন্দ্রের জন্য থাকব। আর লক্ষ্মীরতন শুক্ল ভাল না মন্দ জানি না। আজকের তারিখে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি যদি প্রার্থী হন, তা হলে তো সন্দেহ তৈরি হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন