সারদা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই প্রথম রাজ্যের দুই পুলিশ অফিসারকে ডেকে পাঠাল সিবিআই।
এমন দুই অফিসারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, যাঁরা নিজেরাই এক সময়ে সারদা নিয়ে তদন্ত চালিয়েছিলেন। এমনকী, কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন, তাঁর সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং গাড়িচালক অরবিন্দ চৌহানকে গ্রেফতার করে পুলিশের যে দলটি কলকাতায় নিয়ে এসেছিল, সেই দলেও ছিলেন এই দুই পুলিশ অফিসার। তখন পদাধিকার বলে তাঁরা ছিলেন ইনস্পেক্টর। এখন ডিএসপি পদে আসীন ওই দুই অফিসার দিলীপ হাজরা ও শঙ্কর ভট্টাচার্যকে এক সপ্তাহের মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই।
এর আগে রাজনৈতিক নেতা-সহ বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ডেকে জেরা করা হলেও কোনও পুলিশ অফিসারকে ডাকা হয়নি। সারদা তদন্ত চলাকালীন রাজ্যের এই পুলিশ অফিসারদের একাংশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। সিবিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তার অভিযোগ— তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরে রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে সারদা সংক্রান্ত নানা তথ্যপ্রমাণ নিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ বহু নথিই অমিল। ওই শীর্ষ কর্তার দাবি, সারদার নানা অফিস থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু ওই সব তথ্য সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়নি।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের আস্থা অর্জনের চেষ্টা বিনয়ের
সারদা নিয়ে প্রথম হইচই শুরু হওয়ার পরে তদন্তে নেমেছিল রাজ্য সরকারের গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম— সিট। ১০২ জন পুলিশ অফিসারকে নিয়ে গঠিত সেই দলের মাথায় ছিলেন তৎকালীন বিধাননগরের কমিশনার রাজীব কুমার এবং গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ৯ মে সারদা-সহ অন্য বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে সিবিআই অভিযোগ করে, সারদা সংক্রান্ত তদন্তের নথিপত্র তাদের হাতে তুলে দিতে টালবাহানা করছে রাজ্য পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, সারদায় জড়িত থাকতে পারে এমন কিছু ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তিকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে রাজ্য পুলিশের একাংশ।