ওর সাট্টা তো চলছে, আমার বন্ধ কেন: প্রশ্ন বিধায়ককে

বিস্মিত মান্নান বলছেন, ‘‘এতদিন রাজনীতি করছি। এমন আজব চিঠি কখনও পাইনি। পুলিশকে বলেছি।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলছেন, ‘‘সাট্টা বৈধ করার দাবিতে কেউ চিঠি পাঠাবে, কস্মিনকালেও শুনিনি।’’ আইনজীবী দীপ্তব্রত বটব্যাল বলেন, ‘‘নসিব আমার কাছে এসেছিল। পুলিশ সাট্টা বন্ধ করলে সকলেরটাই করুক।’’

Advertisement

প্রকাশ পাল

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:০০
Share:

প্রতিদ্বন্দ্বীর সাট্টার ঠেক চলবে, আর সে চুপ করে বসে থাকবে! পুলিশ তার ব্যবসা বন্ধ করায় বেজায় চটেছে শেওড়াফুলির সাট্টা কারবারি নসিব আলি। পুলিশ এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে সে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে আর্জি, ‘এ কেমন বিচার! হয় সব সাট্টা বন্ধ হোক। না হলে সাট্টা ব্যবসা চলতে দেওয়া হোক’। আইনজীবীরও দ্বারস্থ হয়েছে নসিব।

Advertisement

বিস্মিত মান্নান বলছেন, ‘‘এতদিন রাজনীতি করছি। এমন আজব চিঠি কখনও পাইনি। পুলিশকে বলেছি।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলছেন, ‘‘সাট্টা বৈধ করার দাবিতে কেউ চিঠি পাঠাবে, কস্মিনকালেও শুনিনি।’’ আইনজীবী দীপ্তব্রত বটব্যাল বলেন, ‘‘নসিব আমার কাছে এসেছিল। পুলিশ সাট্টা বন্ধ করলে সকলেরটাই করুক।’’

নসিব ওরফে জামাইয়ের নিবাস বৈদ্যবাটির কাজিপাড়ায়। বছর কুড়ি আগে থাকত ব্যারাকপুরের দিকে। পরে শেওড়াফুলিতে সাট্টার জগতে প্রবেশ। নসিবের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে তার ঠেক ভেঙে দেয় পুলিশ। অথচ শেওড়াফুলি হাটে এক ‘সাট্টা ডনের’ ঠেক রমরমিয়ে চলছে। নসিব বলে, ‘‘নেতা-পুলিশের কাছে কত গিয়েছি। ওঁরা বলছেন, ‘ডন’ বাদে আর কেউ ব্যবসা চালাতে পারবে না। আমার কাছে কিছু লোক কাজ করে। ওদের কী হবে?’’

Advertisement

কমিশনারেটের এক কর্তা জানিয়েছেন, কোনও ঠেকই চালানো যাবে না। নিয়মিত অভিযান হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement