গ্রন্থাগারেই বিনামূল্যে সহায়ক বই পাবে স্কুল ছাত্রেরা

সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের গ্রন্থাগারে বইয়ের ঘাটতি মেটাতে এ বার নয়া প্রকল্প তৈরি করছে রাজ্য। মূলত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই ও সহায়ক (রেফারেন্স) বই বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দিতে নতুন প্রকল্প চালু করতে চায় গ্রন্থাগার দফতর।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ০২:৫৪
Share:

সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের গ্রন্থাগারে বইয়ের ঘাটতি মেটাতে এ বার নয়া প্রকল্প তৈরি করছে রাজ্য। মূলত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই ও সহায়ক (রেফারেন্স) বই বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দিতে নতুন প্রকল্প চালু করতে চায় গ্রন্থাগার দফতর।

Advertisement

সাধারণত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সহায়ক বই পড়াও জরুরি। একই বিষয়ে বিভিন্ন লেখকদের বই ও প্রশ্নোত্তর বই এর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলের গ্রন্থাগারে এ ধরনের বই অমিল বলে জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারাই।

আর এই অভাব পূরণ করতে নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দাবি গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রেই সহায়ক বই কেনার সামর্থ্য থাকে না পড়ুয়াদের। এই প্রকল্প চালু হলে তারাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা, হাওড়া (শহর) সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় এই প্রকল্প শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দফতরের এক কর্তা।

Advertisement

সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা দফতর ও গ্রন্থাগার দফতরের বৈঠকে এই প্রকল্পের রূপরেখা ঠিক হয়েছে। কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত গ্রন্থাগারকে নিয়ে এক একটি জোন তৈরি করা হবে। প্রতিটি জোনে তিন থেকে চারটি স্কুলকে অন্তর্ভুক্তি করানো হচ্ছে। গ্রন্থাগার ও স্কুলের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য নিয়োগ করা হবে একজন নোডাল অফিসার। তাঁদের মাধ্যমেই প্রতিটি স্কুলের গ্রন্থাগারে বিনামূল্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সহায়ক বই পৌঁছে যাবে। পড়ুয়ারা সেই বই বাড়িও নিয়ে যেতে পারবে। কোন কোন বই কোন স্কুলকে সরবরাহ করা হবে সেই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেই তালিকা তৈরি করবেন গ্রন্থাগারের আধিকারিকেরা।

তবে প্রথম পর্যায়েই সমস্ত স্কুলকে এই আওতায় নিয়ে আসা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে গ্রন্থাগার দফতর। কারণ গোটা রাজ্যে গ্রন্থাগারের সংখ্যা ২৪৮০টি। সব মিলিয়ে এখন ৯৯২০টি স্কুলকে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু রাজ্যে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি। দফতর সূত্রের খবর, পরিকাঠামো উন্নত করে আরও বেশি স্কুলকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন