রেক্টরের ইস্তফা চেয়ে বিক্ষোভ, বন্ধ স্কটিশ

শাসক দলের দুই নেতার কাজিয়ার জেরে কিছু দিন আগেই ইস্তফা দিয়েছেন অধ্যক্ষ অমিত আব্রাহাম। এ বার রেক্টর জন আব্রাহামকে ঘিরে ছাত্র-বিক্ষোভের জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল স্কটিশ চার্চ কলেজ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪১
Share:

শাসক দলের দুই নেতার কাজিয়ার জেরে কিছু দিন আগেই ইস্তফা দিয়েছেন অধ্যক্ষ অমিত আব্রাহাম। এ বার রেক্টর জন আব্রাহামকে ঘিরে ছাত্র-বিক্ষোভের জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল স্কটিশ চার্চ কলেজ। তফাত হল, পড়ুয়ারা ছিলেন অমিতবাবুর পাশে। রেক্টর জন কিন্তু বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের আস্থা খুইয়েছেন পুরোপুরি। পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশপ অশোক বিশ্বাস বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ বন্ধের কথা জানান। রাতে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলেজের ভিতরের ব্যাপারে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু বহিরাগতেরা কলেজের রেক্টরকে হেনস্থা করলে কর্তৃপক্ষ তাদের চিহ্নিত করে সরকারকে জানিয়ে দিন। সরকার নিশ্চয়ই যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’ নতুন কলেজ ভবন তৈরির জন্য ইঞ্জিনিয়ার ও সরকারি অফিসারদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ এ দিন বৈঠকে বসেছিলেন। ছিলেন রেক্টরও। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন ছাত্রদের একাংশ তাঁকে গালিগালাজ করে। বন্ধ দরজায় ধাক্কা দেয়। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অভিযোগ, জনের আমলে কলেজের কোনও উন্নতি হয়নি। তাঁকে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু বিক্ষুব্ধ ছাত্রের অভিযোগ, বাড়ি তৈরির তহবিল তছরুপ হচ্ছে। তাতে রেক্টরও জড়িত। কলেজের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন পার্থবাবু। কিন্তু রাত পর্যন্ত গোলমাল চলায় কলেজ বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন