পরখ: বুধবার দিঘায়। নিজস্ব চিত্র
ভেটকি, চিংড়ি তো প্রায়ই খাওয়া হয়, বাদ যায় না পমফ্রেট বা পাবদাও। স্বাদ বদলাতে নানা সামুদ্রিক মাছের পদ চেখে দেখতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে যেতেই হবে দিঘার ‘সি ফুড ফেস্টিভ্যাল’-এ। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বুধবার থেকে দিঘা মোহনায় শুরু হয়েছে খাদ্য উৎসব।
বুধবার ‘দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই খাদ্য উৎসবের উদ্বোধন করেন পটাশপুরের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর। উপস্থিত ছিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, ‘নেট ফিশ’-এর স্টেট কো অর্ডিনেটর অতনু রায়, দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব কর। শুধু মিষ্টি জল নয়, নোনতা জলের মাছও যে কতটা সুস্বাদু হতে পারে তা প্রচারের লক্ষেই এই উৎসবের আয়োজন বলে জানান জ্যোতির্ময়বাবু।
সেল্ড লাবস্টার থেকে গোল্ডেন বাসুলি, টিকা বুলবুলি থেকে দইচাক— নাম না জানা এমন একশোটি প্রজাতির রংবেরঙের মাছেরই দেখা মিলবে খাদ্য উৎসবে। রয়েছে বোমলা, সাদা ঘোরাই, টপটপা, ব্রাউন, বেলে, চ্যালা, সোনা বামের মতো নানা রং ও আয়তনের সামুদ্রিক মাছও। এই মাছ দিয়েই তৈরি হয়েছে রকমারি পদ। ভস্টার চিলি, ব্রয়েল্ড প্রনশস, টাইগার প্রনস্পেশাল, প্রনচিলি, কাঁকড়া মশলা, প্রন পকোড়ার মতো পদ ফেস্টিভ্যালের প্রথম দিনেই সাড়া ফেলেছে। এই সব খাবারের দামও নাগালের মধ্যেই। ২০ থেকে ১৫০ টাকা দামের মধ্যেই যে কেউ তাঁর পছন্দের পদের স্বাদ নিতে পারবেন।
বর্ধমান থেকে দিঘায় বেড়াতে এসেছেন চিকিৎসক তন্ময় রায়। ফুট ফেস্টিভ্যাল দেখে খুশি তন্ময়বাবু বলছেন, ‘‘এই ফেস্টিভ্যাল খুব সময়োপযোগী। শীতের এই সময় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিত। যাঁরা হৃদপিন্ড ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী।’’ উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে আসা পর্যটক ছন্দা সাহু বলছিলেন, “সামুদ্রিক মাছ এত সুন্দর হয়, এখানে না এলে তা জানতেই পারতাম না। বাড়িতে আমরা দু’তিন রকমের সামুদ্রিক মাছ খেয়েছি। এখানে এসে আরও অনেক রকমের মাছের পদ চেখে দেখার সুযোগ হল।’’
‘দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “মিষ্টি জলের মাছের তুলনায় সামুদ্রিক মাছের স্বাদ ভাল। তা ছাড়া সস্তাও বটে। অনেক সামুদ্রিক মাছ ভিন্ রাজ্যেও যায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষ আরও বেশি সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে পরিচিত হোন, সেটাই এই উৎসবের লক্ষ্য।’’ উৎসব শেষ হচ্ছে আগামী শনিবার।