অরুণাভবাবুর বালির এই বাড়িতেই তল্লাশি চালিয়েছে রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা। —নিজস্ব চিত্র।
রেহাই পেলেন না বালি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অরুণাভ লাহিড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎই তাঁর ফ্ল্যাটে হানা দিল রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার একটি দল। এর আগে তাঁকে এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জমা দিতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য সম্পত্তির হিসেব।
প্রাথমিক সূত্রে খবর, এ দিন রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা অফিসে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল অরুণাভবাবুকে। তাঁকে ওখানে বসিয়ে রেখে দুপুরে বালির বাদামতলায় জিটি রোডের উপরে অরুণাভবাবুর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ৮ জনের একটি দল। কোর্টের নির্দেশ নিয়েই এই তল্লাশি চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তল্লাশি করা হয়েছে রাসবাড়ি এলাকায় অরুণাভবাবুর শ্বশুরবাড়িতেও। বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার গাড়িতে করেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় বাদামতলার ফ্ল্যাটে।
বালি পুরসভা হাওড়া পুর নিগমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলেও প্রাক্তন পুরপ্রধান-সহ অনেকেরই নাম উঠেছে ঘুসুড়ির ঘুষ-কাণ্ডে। তদন্তকারীরা বলেন, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবর্ষ থেকে ঘুষ নিয়ে বালি পুরসভার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রণব অধিকারী যে-অনিয়ম শুরু করেছিলেন, তৎকালীন পুরকর্তারা তার দায় এড়াতে পারেন না। পুরপ্রধান হয়েও অরুণাভবাবু প্রণববাবুর এই অনিয়মের কথা জানতেন না, তা বিশ্বাস করতে নারাজ তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদের পরে সন্তুষ্ট না হয়ে এ দিন তাই তল্লাশি চালানো হয়েছে অরুণাভবাবুর বাড়িতে।
অরুণাভবাবু অবশ্য আগাগোড়াই নিজেকে সৎ বলে দাবি করেছেন। এর আগে পুলিশের কাছে একটি চিঠিও দেন তিনি। চিঠির বয়ান অনুযায়ী, তিনিন বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন পুলিশকে। অরুণাভবাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, “তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত। প্রমাণ করে দেব আমি সৎ।’’