প্রতীকী ছবি।
ফের সেলফির নেশাই মারণ হয়ে দাঁড়াল। ট্রেনের কামরায় দাঁড়িয়ে সেলফি তোলাকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেললাইনে পড়ে গুরুতর জখম এক বন্ধুর হাত কেটে বাদ দিতে হল। আহত বন্ধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেলেন তাঁর চার বন্ধুও। বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম কাজলচন্দ্র সাহা (২৪) সঞ্জীব পল্লে, চন্দন পল্লে, সুমিত কুমির। সঞ্জীবদের বন্ধু তারক মাকালের একটি হাত কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এঁরা সকলেই দমদম পার্কের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন
হেলমেট না পরলে চালুই হবে না বাইক, অভিনব উদ্ভাবনে নজর কাড়লেন রোহিত
কাজলের দাদা দুলাল জানান, প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে ভাইয়ের বন্ধুরা মিলে তারকেশ্বরে পুজো দিতে যান। এ দিন সকালে কার্তিক-সহ ন’জন বন্ধু মিলে বালি থেকে ট্রেনে চড়ে তারকেশ্বরে পুজো দেওয়ার জন্য রওনা হন। বিকেলে তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন ট্রেন ধরে বালিতে না নেমে লিলুয়া চলে যান। সেখান থেকে শেঁওড়াফুলি লোকাল ধরে তাঁরা বালিতে ফিরছিলেন। বেলুড় স্টেশনের প্রায় এক কিলোমিটার আগে কামরায় দাঁড়িয়ে তারক নিজস্বী তুলতে যান। সে সময়ই তাঁর মোবাইল ফোনটি হাত ফস্কে রেললাইনে পড়ে যায়। ফোন কুড়োতে গিয়ে রেললাইনের ধারের পোস্টে ধাক্কা লেগে পড়ে যান তিনি। বেলুড়ে ট্রেন ঢুকলেই রেলের রেলরক্ষীরা লিলুয়া স্টেশনে সে খবর জানান। আরপিএফ এবং রেলকর্মীরা এসে তারককে রেললাইন থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বেলুড়ে নেমে বাকি চার বন্ধু তারকের খোঁজে তিন নম্বর রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকেন। সে সময় ওই লাইন দিয়ে হাওড়ার দিক থেকে বর্ধমান লোকাল আসছিল। পাশাপাশি চার নম্বর লাইনে বালির দিক থেকেও আর একটি ট্রেন আসছিল। কী করবে বুঝতে না পেরে তাঁরা তিন নম্বর রেললাইন ধরে ছুটতে থাকেন। কিন্তু, বর্ধমান লোকালের ধাক্কায় তিন জনেই ছিটকে পড়ে যান। তাঁদের দেহ দলা পাকিয়ে যায়। আর এক জন বন্ধু সঞ্জীবও ছিটকে পড়ে যান। সঞ্জীব ও তারককে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালেই মারা যান সঞ্জীব।