তিতুমিরকে নিয়ে প্রশ্ন, স্কুলে বন্ধ বই বিক্রি

পর্ষদ সূত্রের খবর, ওই প্রকাশনার দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে তিতুমিরের আন্দোলনের ইতিহাসে হিন্দু জমিদারদের নিয়ে এমন কয়েকটি লাইন আছে, যা থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ১৭:০০
Share:

তিতুমির।

তাঁর আন্দোলন ইতিহাস ঠিকই। তবে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে তিতুমিরের সেই আন্দোলনের ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ। একটি বেসরকারি প্রকাশনার সেই বইয়ের বিক্রি বন্ধ করে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

প্রশ্ন উঠছে, আপত্তিকর অংশ থাকা সত্ত্বেও ওই পাঠ্যবই পর্ষদের ছাড়পত্র পেল কী ভাবে? ক্ষতিকর সেই অংশ-সহ বইটি দেড় বছর ধরে পড়ুয়াদের পড়ানো হলই বা কী ভাবে? এই সব প্রশ্নের সদুত্তর মিলছে না।

কী আছে ওই পাঠ্যবইয়ে?

Advertisement

পর্ষদ সূত্রের খবর, ওই প্রকাশনার দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে তিতুমিরের আন্দোলনের ইতিহাসে হিন্দু জমিদারদের নিয়ে এমন কয়েকটি লাইন আছে, যা থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে অভিযোগ ওঠে। এক সংগঠনের তরফে পর্ষদে অভিযোগ করা হয়। পর্ষদ তার পরে প্রকাশক সংস্থাকে নির্দেশ দেয়, পড়ুয়াদের কাছে যাওয়া নতুন পাঠ্যক্রমের ওই বইগুলি ফেরত নিয়ে বিনামূল্যে সংশোধিত বই পৌঁছে দিতে হবে। ২০১৬ সাল থেকে ওই পাঠ্যবই পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশও করে গিয়েছে। সেগুলো কী ভাবে ফেরত আনা সম্ভব? প্রকাশনা সংস্থা সেই কাজ না-করায় বই বিক্রি বন্ধ করে দেয় পর্ষদ। প্রকাশক প্রশান্ত দে বলেন, ‘‘পর্ষদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।’’

প্রশ্ন উঠেছে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। কারণ কোনও পাঠ্যবই প্রকাশ করতে গেলে পর্ষদের থেকে টেক্সট বুক বা ‘টিবি নম্বর’ পেতে হয়। ওই নম্বর পেতে হলে পর্ষদের কাছে লেখা জমা দিতে হয় সব লেখককেই। পর্ষদের অ্যাকাডেমিক বিভাগ তা যাচাই করে টিবি নম্বর দেয়। বিতর্কিত কিছু থাকলে তখনই তা বাদ পড়ার কথা। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই বই পড়ে পরীক্ষার্থীরা মাধ্যমিক দিল কী ভাবে? পাঠ্যবই রিভিউ কমিটির যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।’’ পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ বা প্রশ্ন শুনতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন