—নিজস্ব চিত্র।
নাম ছিল আবাস প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকায়। তা সত্ত্বেও বাড়ি মেলেনি। ফলে কাঁচা মাটির বাড়িতেই গাদাগাদি করে বসবাস করত সাতটি পরিবার। লাগাতার ঝড়-বৃষ্টি-দুর্যোগে সেই বাড়ি ধসে এ বার সকলেই নিরাশ্রয়।
বাঁকুড়ার ওন্দা থানার আগড়দা গ্রামের ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত সাত পরিবারের প্রায় সকলেই দিনমজুর। তাঁরা জানান, লাগাতার বৃষ্টিতে বাড়ির ভিত নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেই থাকছিলেন সকলে। এর পর শনিবার বিকেলে বৃষ্টি শুরু হতেই আচমকা বাড়িটি ভেঙে পড়ে। কেউ অবশ্য জখম হননি।
বাড়িটির সদস্য শীতল দিগর বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে আবাস প্রকল্পের বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলাম। উপভোক্তাদের তালিকায় নামও ছিল। কিন্তু আমরা বাড়ি পাইনি। এলাকায় যাঁদের পাকা বাড়ি আছে, তাঁরাও বাড়ি পেয়েছে। কিন্তু আমরা পেলাম না। এখন আমাদের এলাকার স্কুলে থাকতে হচ্ছে।’’ পরিবারের কর্তা বাসুদেব দিগর বলেন, ‘‘বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পর তৃণমূল আর বিজেপির নেতারা এসে ত্রাণ দিচ্ছেন। এটা যদি আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য করতেন, তা হলে এই দিন দেখতে হত না।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সজল নিয়োগী বলেন, ‘‘ঘটনার পরেই আমরা দুর্গতদের কাছে ত্রিপল ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। আমরা সব রকম ভাবে পরিবারগুলির পাশে আছি। আবাস তালিকায় পরিবারগুলির নাম থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার ওই প্রকল্পে বরাদ্দ আটকে রাখাতেই এই সমস্যা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ পাল্টা বিজেপি নেতা বাবু সরখেল বলেন, ‘‘এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় রাজ্য সরকারের। আবাস প্রকল্পে এ রাজ্যে সীমাহীন দুর্নীতির জেরেই এই পরিবারগুলি বঞ্চিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা বাংলার বাড়ি প্রকল্পেও কেন এই পরিবারগুলি বঞ্চিত থাকলেন, তার উত্তর তৃণমূলকেই দিতে হবে।’’