অভিনন্দন: বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ১২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শঙ্খ ঘোষকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার। ছবি: প্রদীপ আদক।
একদা তার সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নবীনচন্দ্র সেন, রমেশচন্দ্র দত্ত, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, যদুনাথ সরকারের মতো ব্যক্তি। সেই বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের দুর্দশায় মঙ্গলবার ক্ষোভ ও খেদ প্রকাশ করলেন কবি শঙ্খ ঘোষ-সহ বিশিষ্ট জনেরা।
ওই প্রতিষ্ঠানের ১২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে শঙ্খবাবু বলেন, ‘‘এই দিনটি শুধু এই প্রতিষ্ঠানের গৌরব নয়, গোটা জাতির গৌরব। তবে সেই অর্থে গৌরবচেতনা আমাদের আছে বলে মনে হয় না!’’ সাহিত্য পরিষদের মতো পাঠচর্চার পীঠস্থান তথা ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের মহত্ত্ব সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতা এবং প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে উদাসীনতার উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
১৮৯৩ সালের ৮ শ্রাবণ রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটে বিনয়কৃষ্ণ দেবের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ‘বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার’। পরে তার নাম ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ’ হলেও প্রতিষ্ঠানের জন্মদিন হিসেবে ৮ শ্রাবণ তারিখটিকেই ধরা হয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানের সচিব রতনকুমার নন্দী। পরে প্রতিষ্ঠানটি সরে যায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রোডে।
সাহিত্য পরিষদের ঐতিহ্য রক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ কতটা নিরুত্তাপ, তা বোঝাতে গিয়ে শঙ্খবাবু এ দিন বলেন, ‘‘এই মহৎ প্রতিষ্ঠানের মহত্ত্ব যে আমরা টের পাই, তা নয়। এটা দুঃখের ঘটনা। বাইরে যে-বিরাট জ্ঞানী সমাজ পড়ে আছে, তার সঙ্গে এর যোগাযোগ খুব কম। এই অবস্থায় আমরা শপথ নিতে পারি, যে যতটা পারি, এই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করার চেষ্টা করবো।’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যেরা তাঁকে সমর্থন জানান।