সাদামাঠা মাত্র পাঁচটি ডায়েরি! বছর শেষে তা নিয়েও শাসক-বিরোধী টানাপোড়েন বাধল বিধানসভায়!
বিতর্কের সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। বিধায়কদের জন্য রাজ্য পরিবহণ দফতর ২৯৪টি ডায়েরি পাঠিয়েছিল সরকারের কাছে। মুখ্য সরকারি সচেতক নির্মল ঘোষের ঘর থেকে এ দিন নতুন বছরের ৩৯টি ডায়েরি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের কাছে। যাতে কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে ওই ডায়েরি বিতরণ করে দিতে পারেন মান্নানবাবু।
মূল ঘটনাটা, এ টুকুই! কিন্তু সেই তিল থেকেই তাল হয়েছে। মান্নানের বক্তব্য, ভোটের ফলের নিরিখে কংগ্রেসের বিধায়ক-সংখ্যা ৪৪। তা হলে ৩৯টি ডায়েরি কেন? মান্নানেরা বুঝেছেন, এটা শাসক দলের নেতাদের কারওর ‘দুষ্টু বুদ্ধি’! ইতিমধ্যে ৫ জন বিধায়ক শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। সেই কারণেই পাঁচটি ডায়েরি কম পাঠিয়েছেন নির্মল। কিন্তু গোঁ ধরে বসেছেন মান্নানও। নির্মলবাবু এ দিন দেখা করতে গেলে মান্নান তাঁকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ৪৪টি ডায়েরি পাঠালে তবেই নেবেন। নচেৎ একটাও নয়! মানস ভুঁইয়া, তুষার ভট্টাচার্যের মতো যে পাঁচ বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা এখনও কংগ্রেসের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তাই ওঁদের জন্য বরাদ্দ ডায়েরিও কংগ্রেসের কাছে পাঠাতে হবে। যদিও এ ঘটনার দায় নিতে চাননি মুখ্য সচেতক। নির্মলবাবু বলেন, ‘‘সামান্য ডায়েরি নিয়ে আমার নাম জড়াল! যদি কিছু ভুলচুক হয়ে থাকে, তা করেছেন বিধানসভার কর্মীরা। বলেছিলাম, ডায়েরি আমার ঘরে রাখা আছে। যার দরকার, সই করে নিয়ে যাবে।’’ আর কংগ্রেসের বক্তব্য, মানস-তুষারদের ওঁরা বলুন না স্পিকারের কাছে ইস্তফা দিতে। তার পর একটা কেন, তৃণমূল ওঁদের একশো ডায়েরি দিক!
প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুরের দলত্যাগী বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য ২২ ডিসেম্বর স্পিকারের শুনানিতে হাজির না হয়ে চিঠি দিয়েছিলেন, তাঁর জন্ডিস হয়েছে। অথচ ওই দিন দলীয় সাংসদ মুনমুন সেনকে পাশে নিয়ে বিষ্ণুপুর মেলার উদ্বোধন করেন তুষারবাবু। মুনমুনের দুই মেয়ে রিয়া-রাইমাকে পাশে নিয়ে হুড খোলা জিপে শহরেও ঘুরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।