প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ঘটনায় ৬ কর্মীকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হল। গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কেন তাঁদের বহিষ্কার করা হবে না, সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ওই ৬ জনের কাছে।
হুগলি জেলা থেকে আসা কংগ্রেসের এক দল কর্মী-সমর্থক গত সপ্তাহে বিধান ভবনে প্রদেশ নির্বাচন কমিটির বৈঠক চলাকালীন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিধান ভবনে মান্নান-বিরোধী পোস্টারও সেঁটে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে ৬ জন দলীয় কর্মীকে চিঠি পাঠিয়ে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ওই তথাকথিত ‘বিক্ষোভে’র ফলে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদায় আঘাত লেগেছে এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে দল হিসেবে কংগ্রেস ‘কলঙ্কিত’ হয়েছে। লিখিত ব্যাখ্যা জানাতে কোনও শৈথিল্য দেখা গেলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সোমেনবাবু।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এমন পদক্ষেপেও অবশ্য মান্নানের সঙ্গে বিধান ভবনের সম্পর্কের ‘বরফ’ গলার বিশেষ ইঙ্গিত নেই। দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন সোমেনবাবু, মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য সকলেই। সেখান থেকেই বিরোধী দলনেতার প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি তো কোনও অভিযোগ করিনি। কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’ ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ মান্নান অবশ্য বিশদে সব জানিয়েছিলেন বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র নেতা গৌরব গগৈ, সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহদের। বামেদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিলেন।