আমার ঘনিষ্ঠ জনেদের বিরুদ্ধে আপনি গুরুতর কোনও অভিযোগ আনলেন। আনতেই পারেন, এই গণতন্ত্রে আপনার সেই অধিকার রয়েছে। আমারও অধিকার রয়েছে, আপনার অভিযোগ যে অসত্য, এই কথা বলার। তা হলে সত্য উদ্ঘাটন হবে কী ভাবে?
সত্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব অতএব নিলাম আমিই। সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ আমাকে নেতা নির্বাচিত করেছেন, এতএব হক রয়েছে আমার। উদ্ঘাটনের প্রক্রিয়াটা তা হলে কী দাঁড়াল? আমিই স্থির করে দিলাম বিষয়টা, মানে, সহজ করে বুঝিয়ে দিলাম। এক, সত্যউন্মোচী এই তদন্ত করবে আমারই নিজস্ব লোক, অনেক ঝাড়াই বাছাইয়ের পর আমি যাকে ভাল চেয়ারে বসিয়েছি যত্ন করে। দুই, তদন্তের মুখ তবুও যদি গুলিয়ে ফেলেন সত্যান্বেষী কুমার, তাই প্রথমেই স্পষ্ট করে দিই, আমার ঘনিষ্ঠ জনেরা কিন্তু কোনও অন্যায় করেনি। আমার হাত তাদের মাথায়। অর্থাত্ রহস্যের চাবিকাঠি এ দিকে খুঁজতে এসো না বাপু। তিন, রহস্যও খুব একটা নেই, আমিই জানিয়ে দিচ্ছি। অভিযোগ যারা করেছে, অন্যায়টা তাদেরই। চক্রান্ত করেছে তারা, এখন কাজ হবে কে কে কী ভাবে এই চক্রান্তে রয়েছে সেগুলো খুঁজে বার করা। চার, কারা কারা আছে, তা-ও আমি জানি, সব বলব কেন, খুঁজে বার করো কুমার, আমি তো থাকছিই।
এর পরেও যদি কোনও নিন্দুক বলেন, আমার রাজ্যে সত্যের শাসন নেই, সে কথা মেনে নেব? মেনে নেওয়া সম্ভব? এখন অন্তত চুপ করুন। নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু হতে যাচ্ছে। চিন্তা করবেন না, আমার কড়া নজরদারি থাকছেই।