শিলিগুড়ি পুরবোর্ড বামেদের দখলে থাকায় ওই এলাকার মানুষ রাজ্যের মাধ্যমে আসা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ফায়দা পাচ্ছে না বলে দিল্লিতে সরব হলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি এসেছেন অশোকবাবু। সেই সুযোগে আজ
তিনি দেখা করেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে। বৈঠকে অশোকবাবু অভিযোগ করেন, শিলিগুড়ি পুরবোর্ড বিরোধী দলের হাতে থাকায় ‘বিমাতৃসুলভ আচরণ’ করছে রাজ্য সরকার। নবান্নের মাধ্যমে বণ্টন হওয়া একটিও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ফায়দা পাচ্ছেন না শিলিগুড়ির মানুষ। স্মার্ট সিটি, সকলের জন্য বাড়ি, স্বচ্ছ ভারতের মতো কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিঁকে ছেঁড়েনি শিলিগুড়ির মানুষের জন্য।
অশোকবাবুর অভিযোগ, সকলের জন্য বাড়ি— এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে গোটা রাজ্যে ১ লক্ষ ২২ হাজার বাড়ি বানানো হবে। কিন্তু তাঁর পুর-এলাকার জন্য একটিও বাড়ি বরাদ্দ হয়নি। এ ছাড়া, এমআরইউটি প্রকল্পে পরিস্রুত পানীয় জল, স্বচ্ছ নিকাশি ব্যবস্থা নির্মাণ প্রকল্পেও বঞ্চনার শিকার শিলিগুড়ি। রাজ্য সরকার ওই খাতে ৯০০ কোটি টাকা পেলেও শিলিগুড়ির জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৬০ লক্ষ টাকা। অশোকবাবুর অভিযোগ, ‘‘সেই টাকাও দেওয়া হয়েছে গাছ লাগাতে!’’ এর আগে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে পাওনা চেয়ে দরবার করেছেন অশোকবাবুরা। এ বার দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লির।
কোন খাতে কত খরচ হবে,
সেই বিষয়টিও বলে দিয়ে পুরবোর্ডগুলির উপরে রাজ্য সরকার খবরদারি চালাচ্ছে বলে বলে অভিযোগ করেছেন অশোকবাবু। তিনি বেঙ্কাইয়ার কাছে জানতে চান, রাজ্যের এই অধিকার রয়েছে কি না। অশোকবাবুর দাবি, ‘‘বেঙ্কাইয়া আমায় জানান, রাজ্য এ ভাবে কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। সমস্যার সমাধানে অবিলম্বে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’’
রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জে গিয়েও মেয়র অভিযোগ জানাতে পারেন, আমাদের কিছু বলার নেই! তবে শহরের বাসিন্দারা পরিষেবা কেন পাচ্ছেন না, তার উত্তর মেয়রকেই দিতে হবে। আমার মনে হয়, আগে মেয়রের নিজের কাজটা করা উচিত। পরে রাজনীতি করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অশোকবাবু উল্টোটাই মনে করেন!’’