অপেক্ষায়: বৃহস্পতিবার বন্ধ ওঠার কথা ঘোষণা হতেই খুলেছিল কিছু দোকানপাট। শুক্রবার ফের ঝাঁপ পড়ল। কার্শিয়াঙে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
বৃহস্পতিবার এই ৩৮ কিলোমিটার পথে বহু গাড়ি মাল নিয়ে পাহাড়ের দিকে যাচ্ছিল। ২৪ ঘণ্টা পরে শিলিগুড়ি থেকে রোহিণী হয়ে কার্শিয়াং যাওয়ার পথ সুনসান। কখনও যদি কোনও বাঁকে এক-আধটা গাড়ির দেখা মেলে, তা হলে সেটা অবশ্যই অ্যাম্বুল্যান্স।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্ধ তোলার কথা ঘোষণার পরে কার্শিয়াঙে খুলেছিল বেশ কিছু দোকান। শুক্রবার সেগুলির ঝাঁপ বন্ধ। কার্শিয়াং পেরিয়ে যত দার্জিলিঙের দিকে এগোনো যায়, ততই যেন খাঁ খাঁ করতে থাকে রাস্তা।
এর মধ্যে একটি মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ ধরে এসে শেষ হয়েছে কার্শিয়াং স্টেশনের কাছে। তাদের মুখে ছিল গোর্খাল্যান্ড ও বন্ধের পক্ষে স্লোগান। বিনয় তামাঙ্গ যে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছিলেন, বন্ধ তুলে নেওয়া হল, তা যেন মুখ লুকিয়েছে বন্ধ ঝাঁপের পিছনে।
‘‘কেন দোকান খুলব বলুন?’’ প্রশ্ন করলেন কার্শিয়াঙের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী। কয়েক দিন আগেও পাল্লা সামান্য খুললেও এ দিন ঝাঁপে তালা। তাঁর কথায়, ‘‘গোলমাল হলে পুলিশ বা বিনয়দের পাশে পাওয়া যাবে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তাই একটু সময় নিচ্ছি।’’
এই ভয়টাই যে ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে, নবান্নে এ দিনে সে কথা জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক কর্তাও।
মিরিক, সেবক ও সুকনা কিন্তু ব্যতিক্রম। মিরিকে পুরসভা খোলা। চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই জানান, মানুষ বন্ধে ক্লান্ত। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে বৃষ্টি-ধস হচ্ছে। এখন কি ঘরে বসে থাকা যায়!’’ সেবকে তো বাজারে অনেক দোকানেই কেনাবেচা চলেছে। গাড়িও চলেছে। সুকনায় লোক মেলেনি বলে ভেস্তে গেল মোর্চার মিছিল। এর মধ্যে এক যুবক নেপালিতে চেঁচিয়ে বলেন, ‘‘সব হুমকি কি শুধু ব্যবসায়ীদের জন্য?’’