কেন্দ্রীয় সরকারের তিন বছরের সাফল্য প্রচার করতে রাজ্যে এসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে রাধামোহন বলেন, ‘‘কৃষি জমির ‘সয়েল হেলথ কার্ড’ তৈরি করে দিচ্ছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের চাষিদের সকলের কাছে তা এখনও পৌঁছোয়নি। এ রাজ্যে ৭২ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৩৩ লক্ষ চাষি ওই কার্ড পেয়েছেন।’’ এ ছাড়াও ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন রাজ্যকে যে টাকা দিচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সেই টাকা খরচ করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেছেন কৃষিমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসলে উনি মন্ত্রী হিসাবে নয়, বিজেপি নেতা হিসাবে এসেছিলেন। রাজনীতি করছেন। যা টাকা পাওয়ার কথা তা দিচ্ছেন না। উল্টে দোষারোপ করছেন।’’ কৃষিমন্ত্রী জানান, গত এক বছরে কৃষিতে যে কাজ হয়েছে, তা আগে কখনও হয়নি। ক্ষুদ্র সেচেও ৫০ হাজার পুকুর কাটা, নলকূপ বসানো, চেক ড্যাম তৈরি, রিভার লিফটিং পাম্প বসানোর কাজ হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সে সব দেখতে পাননি, কারণ তিনি রাজনীতির চশমা পরেছিলেন।
মঙ্গলবারে নজরুল মঞ্চের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সহ সভাপতি রাজকমল পাঠক। এ দিন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি বিমানবন্দর সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান। সৌগতবাবু অনুষ্ঠানে গিয়ে আবার বেরিয়ে চলে আসেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘গিয়ে দেখলাম পুরোদস্তুর বিজেপির অনুষ্ঠান। দিলীপ ঘোষরা মঞ্চে। আমি ভেবেছিলাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুষ্ঠান।’’