Dilip Ghosh Wedding

দিলীপের বাড়িতে মায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে নেই পাত্রী রিঙ্কুর পুত্র সৃঞ্জয়! কেন, সেই কারণও জানিয়ে দিলেন আনন্দবাজার ডট কম-কে

রিঙ্কুর পুত্র সৃঞ্জয় মজুমদার ভিন্‌রাজ্য থেকে ফোনে জানালেন, মায়ের নতুন জীবনের জন্য তাঁর অনেক শুভেচ্ছা থাকল। তিনি বলেন, ‘‘দু’জনকে অনেক শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন দু’জনে। খুব ভাল থেকো। আমাদের বাংলার জন্য কাজ করুন এবং আমাদের গর্বিত করুন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২১
Share:

রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে ছেলে সৃঞ্জয় মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।

পেশায় আইটি কর্মী। সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। এখন শহরের বাইরে রয়েছেন রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র সৃঞ্জয়। তাই মায়ের বিয়েতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না। তবে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মা যে নতুন জুটি বেঁধেছেন, তাতে তিনি ভীষণ খুশি। আনন্দবাজার ডট কমকে সে কথাই জানালেন বছর ২৫-এর যুবক। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিয়েতে থাকতে পারছি না। তবে আমার থাকার ইচ্ছা ছিল।’’

Advertisement

বাড়ি ফিরে মা এবং তাঁর নতুন সঙ্গীর জন্য উপহার আনছেন সৃঞ্জয়। তবে উপহারে কী থাকবে, তা খোলসা করলেন না রিঙ্কুর পুত্র।

শুক্রবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পাত্রী রিঙ্কুও বিজেপি নেত্রী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ হেরে যাওয়ার পর যখন খানিক বিষণ্ণ, সেই সময় রিঙ্কুই প্রথম একসঙ্গে ঘর বাঁধার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শুক্রবার রিঙ্কু বলেন, ‘‘আমি দিলীপদাকে ফোনে যা বলার বলেছিলাম। উনি শুনেছিলেন। মনে হয়েছিল, আমার প্রস্তাবে উনি রাজি হবেন। তবে মাস তিনেক সময়ও নিয়েছিলেন। তিন মাস আমাদের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। আমি খোলা মনের মানুষ। দিলীপদাও সেটা বুঝেছেন। বিয়ের পরেও রাজনীতিতেই থাকব। আমরা কেউ কারও কাজে হস্তক্ষেপ করব না। ওঁর মতাদর্শগুলি একই রকম থাকবে।’’ বস্তুত, মতাদর্শগত ভাবে মিল রয়েছে, এমন মানুষের সঙ্গে মা ‘সেট্ল ডাউন’ করছেন বলে খুশি ছেলেও। আনন্দবাজার ডট কমের তরফে ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সৃঞ্জয় বলেন, ‘‘আমি গুড ফ্রাইডের ছুটিতে এখন শহরের বাইরে। আমার থাকার খুব ইচ্ছে ছিল (বিয়েতে)।’’ মায়ের বিয়ের সিদ্ধান্তে কি তিনি খুশি? মায়ের জীবনসঙ্গী হিসাবে দিলীপকেই বা কতটা পছন্দ করছেন তিনি? সৃঞ্জয় বলেন, ‘‘একশো বার আমার মত আছে। মায়ের জন্য আমি খুব খুশি। আমি আনন্দিত যে, মা অবশেষে একজনের সঙ্গে ‘সেট্ল ডাউন’ করছেন এবং ওঁরা একই আদর্শে বিশ্বাসী।’’

Advertisement

বেশ কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ৪৭ বছরের রিঙ্কুর। সেই কথা তুলে ধরে পুত্র বলেন, ‘‘১৩ বছর ধরে সামাজিক এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করেছেন মা। এ বার নিজের জীবন শুরু করছেন। আমি মন থেকে খুশি।’’ তিনি এ-ও জানালেন, দিলীপের সঙ্গে তাঁর একাধিক বার দেখা হয়েছে এবং কথাবার্তা হয়েছে। বাবা হিসাবে দিলীপকে তিনি মন থেকে মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘একটা ‘ইমোশনাল ভ্যাকুয়াম’ তো থেকেই যায় মানুষের মধ্যে। একটি নির্দিষ্ট বয়সে এসে বাবাকে পাচ্ছি, সেটার জন্যও আমি খুশি।’’ কলকাতায় ফিরে মা এবং মায়ের সঙ্গীর জন্য উপহার নিয়ে দেখা করতে যাবেন সৃঞ্জয়। তবে উপহার হিসাবে কী দেবেন, সেটা ‘সারপ্রাইজ়’। শুধু এটুকু জানালেন যে, দু’জনের পছন্দ হয় এমন জিনিসই দেবেন।

মা এবং বাবার জন্য কিছু বার্তা দিতে চান? সৃঞ্জয় বললেন, ‘‘দু’জনকে অনেক শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন দু’জনে। আমাদের বাংলার জন্য কাজ করুন এবং আমাদের গর্বিত করুন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement