আইনে তথ্যের অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো কলেজেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই এ বার সব কলেজে তথ্য অফিসার এবং উত্তর বিচারকারী (অ্যাপিলেট অথরিটি)-র পদ সৃষ্টি আবশ্যিক করা হচ্ছে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে সম্প্রতি এ বিষয়ে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই দু’টি পদ তৈরি করে কলেজের দু’জন শিক্ষককে সেগুলিতে বসানো হবে। আরটিআই বা তথ্যের অধিকার আইনে কেউ যদি কলেজগুলির কাছে কোনও বিষয়ে কিছু জানতে চান, ওই দুই পদাধিকারী সেই তথ্য জোগান দেবেন। ডিপিআই জয়শ্রী রায়চৌধুরীর স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট নির্দেশে কলেজের অধ্যক্ষদের বলা হয়েছে, ওই দু’টি পদে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবিস্তার তথ্য ১২ অক্টোবরের মধ্যে উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠাতে হবে।
ডিপিআই মঙ্গলবার জানান, ২০১০ সালেই এই বিষয়ে সরকারি স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার পরে, ২০১২ সালেও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য নির্দেশ কলেজগুলিতে পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খুব কম কলেজই সেই নির্দেশ মেনে তথ্য সরবরাহকারীর পদ সৃষ্টি করেছে। ফলে তথ্য জোগানোর দায়িত্ব এসে পড়ছে অধ্যক্ষ বা টিচার ইনচার্জদের উপরে। তাই এ বার তথ্য অফিসার ও উত্তর বিচারকারীর পদ তৈরির দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষকদের মধ্য থেকে দু’জনকে ওই দুই পদে বেছে নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরে জানাতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে অধ্যক্ষদের মধ্যে। চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ওই দুই পদে লোক বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত উচ্চশিক্ষা দফতর নিলেই ভাল হতো। অধ্যক্ষ নাম বাছলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তা মানবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন শ্যামলেন্দুবাবু। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় জানান, তাঁদের আলাদা আরটিআই সেল আছে। এ বার উত্তর বিচারকারীর পদও তৈরি করা হবে।