(বাঁ দিকে) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের মুখে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি। এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে তলব করল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে যাদবপুর থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যাদবপুরে অশান্তির ঘটনার যে তথ্য তাঁর কাছে আছে, সেগুলি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে সৃজনকে। এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়েছিল এসএফআই। সৃজনও সেখানে ছিলেন। তার পরেই তাঁকে তলব করা হল। এসএফআই সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ যাবতীয় তথ্য নিয়ে সৃজন যাদবপুর থানায় যাবেন।
পুলিশি তলব প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন বলেন, ‘‘তদন্তে আমি সব রকম সহায়তা করব। ওই দিনের ঘটনার সময়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছিলাম না। সমাজমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো আমার কাছে রয়েছে। সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেব। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পুলিশের এত গড়িমসি কেন? তাঁদের কেন ডাকা হচ্ছে না? আমাকে তলব করে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কিছু দিন আগে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই সময় ব্রাত্যের গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। ব্রাত্য গাড়ি থেকে নেমে এলে তিনিও আহত হন। দু’জন ছাত্র এই অশান্তিতে আহত হয়েছেন। এসএফআইয়ের অভিযোগ, ব্রাত্যের গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছেন তাঁরা।
আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়কে ব্রাত্যের গাড়ি পিষে দিয়েছিল বলে দাবি করে এসএফআই।বক্তব্যের সপক্ষে সাংবাদিক বৈঠক করে সে দিনের ঘটনার কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়েছিল তারা। সেগুলির সত্যতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। ইন্দ্রানুজ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার তাঁকে ছাড়া হতে পারে।