সাইকেলে সওয়ার শ্রীলাল সাহানি। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
দলে দলে রাজনীতির দূরত্বে নজর নেই তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোন, নরেন্দ্র মোদী বা রাহুল গাঁধী, সীতারাম ইয়েচুরি— কলকাতায় এমন কোনও নেতার জনসভা হলেই সেখানে যাওয়ার প্রাণপণ ইচ্ছা থাকে তাঁর।
বাস, গাড়ি, ট্রেনে নয়— গোটা পথ তিনি যান সাইকেলে। প্যাডেলে পা, হাতে ঢোল নিয়ে!
তিনি বোলপুরের মকরমপুর বিদ্যাসাগরপল্লির শ্রীলাল সাহানি। বয়স প্রায় ষাট ছুঁয়েছে। কিন্তু ইচ্ছাশক্তিতে তিনি যে কোনও তরুণের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতে প্রস্তুত।
বুধবার কলকাতায় জনসভা ছিল নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ব্রিগেডের পথে রওনা দেন শ্রীলাল। সঙ্গী তাঁর ঢোল। প্রায় ১৬০ কিলোমিটার রাস্তা। ক্লান্তি কি আসে না? ‘‘হাঁফিয়ে গেলে রাস্তার পাশে কোথাও জিরিয়ে নিই। তার পরে ফের পথচলা শুরু’’— স্মিত হেসে জবাব দেন পেশায় মাছবিক্রেতা ওই বৃদ্ধ। অন্য দিন সকালে বোলপুরের লজেরমোড়ের কাছে বাজারে মাছ বিক্রি করেই চলে তাঁর সংসার। আর প্রতি দিন সন্ধ্যায় নিজের মনে সাইকেলে চেপে ঢোল বাজিয়ে, গান গাইতে গাইতে তিনি ঘোরেন শহরের রাস্তায় রাস্তায়। এটাই তাঁর রোজনামচা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আর কলকাতায় বড় কোনও জনসভা থাকলে সব কাজ ফেলে বেরিয়ে পড়েন মহানগরীর পথে। তিনি জানান, এই নিয়ে সাত বার সাইকেলে ব্রিগেড গিয়েছেন। রাজনীতির কোনও দলকে সমর্থনের জন্য নয়, এ জন্য তিনি পান না কোনও পারিশ্রমিকও। শুধু যান মানুষকে আনন্দ দিতে। তাঁর কথায়, ‘‘যে কয়েকটা দিন আর বাঁচব, এ ভাবেই আনন্দ করে কাটিয়ে যেতে চাই।’’