পুলিশ পিটিয়ে জওয়ান ‘লুঠ’ এসএসবির

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ডায়মন্ড হারবার শহরের নিউটাউন মোড়। জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর দুই জওয়ানকে যখন ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন এক জওয়ানকে তুলে নিয়ে গাড়ি করে চম্পট দেন বাকি জওয়ানরা। জিপ নিয়ে সেই গাড়িটিই তাড়া করে পথ আটকেছিল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৮
Share:

ধৃত: আদালতের পথে দীপককুমার সিংহ।—নিজস্ব চিত্র।

আচমকা ব্রেক কষে রাস্তায় আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে পড়ল পুলিশের একটি জিপ। নেমে এলেন ওসি। জিপ দাঁড়ানোয় একের পর এক আটকে পড়ল তিনটি গাড়ি। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে নেমে এলেন কয়েক জন জওয়ান। শুরু হল তর্কাতর্কি।

Advertisement

খানিকক্ষণের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে হাজির কয়েক জন পুলিশ। জওয়ানদের সঙ্গে তর্কাতর্কি এ বার গড়াল হাতাহাতিতে। রাইফেল উঁচিয়ে পুলিশকে শাসিয়ে, মারধর করে গাড়ি নিয়ে উধাও হয়ে গেলেন জওয়ানরা।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ডায়মন্ড হারবার শহরের নিউটাউন মোড়। জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর দুই জওয়ানকে যখন ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন এক জওয়ানকে তুলে নিয়ে গাড়ি করে চম্পট দেন বাকি জওয়ানরা। জিপ নিয়ে সেই গাড়িটিই তাড়া করে পথ আটকেছিল পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এসএসবি ছিনতাই করে নিয়েছে। এত বড় সাহস!’’

Advertisement

পরে অবশ্য পুলিশ কর্তাদের মধ্যস্থতায় এসএসবি-র পারুলিয়া ক্যাম্প থেকে থানায় ফিরিয়ে আনা হয় ধৃত দীপককুমার সিংহকে। তিনি এসএসবি-র ৬৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের কম্যান্ডিং অফিসার। ধৃত অন্য জওয়ানের নাম অমিতাভ প্রামাণিক।

জানা গিয়েছে, ১৭ তারিখ দীপক ডায়মন্ড হারবার থানায় চিঠি দিয়ে জানান, এলাকায় বাতিল নোট বদলের কারবার চলছে। তল্লাশির জন্য সাহায্য প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আর একটি চিঠি দিয়ে তিনি জানান, সরিষা বাজারে নোটের কারবারের হদিস মিলেছে। পুলিশের দল যেন তৈরি রাখা হয়।

ঘণ্টাখানেক পরে দীপক থানায় ফোন করে পুলিশ পাঠাতে বলেন। সরিষা বাজারে প্রিন্স মার্কেট নামে একটি বাড়িতে পৌঁছে পুলিশ দেখে, দোতলার বড় হলঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এক ব্যক্তির মৃতদেহ। দাগী দুষ্কৃতী বলে পরিচিত বছর আটত্রিশের ওই যুবকের নাম আলতাফ জমাদার। দীপকের কপাল থেকে রক্ত ঝরছে। সঙ্গে রয়েছেন জওয়ান অমিতাভ। তাঁদের আটক করে পুলিশ। আটক হয় বাড়ি-মালিক মোজাম্মেল মণ্ডলকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন