নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই বর্ধমানের কাটোয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে কর্মী-অফিসারদের সরাতে শুরু করে দিল রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা এনটিপিসি। এবং যা দেখে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নবান্নের খবর, কেন কর্মী সরানো হচ্ছে, এনটিপিসি-র কাছে তার ব্যাখ্যা চাইবে রাজ্য।
কর্মী সরানোর বিষয়টি জানতে পেরে সম্প্রতি খোঁজ নিতে শুরু করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্টও দিয়েছেন তিনি। সব শুনে এনটিপিসি-র সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ সংস্থার কাছে নবান্ন জানতে চাইবে, জমির সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার পরেও কেন প্রকল্পের কাজ শুরু করা গেল না?
এনটিপিসি সূত্রের খবর, কাটোয়া প্রকল্পে নিযুক্ত ১৫ জন আধিকারিকের মধ্যে গত এক মাসে বদলি করা হয়েছে অর্ধেককে। এর মধ্যে জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ সেন-ও রয়েছেন। এই বদলি নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। সংস্থার কর্তারা অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সংস্থার মানবসম্পদ দফতরের আধিকারিক সপ্তর্ষি রায় ফোন ধরেননি, এসএমএস-এরও জবাব দেননি। সংস্থার পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা করণ সিংহ গার্বেয়লও ফোন ধরেননি।
তবে সংস্থার একটি সূত্র জানাচ্ছে, কয়েকটি সমস্যার কারণে কাটোয়ার কাজ কাজ থমকে থাকায় কর্মীদের বদলি করা হচ্ছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। কাজ শুরু হলেই তাঁরা আবার ফিরে আসবেন।
কাটোয়ায় কয়লা কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে এনটিপিসি এখনও অন্ধকারে। এই কারণেই নির্মাণ কাজ শুরুর অনুমোদন পেতে দেরি হচ্ছে। পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্যও আবেদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎমন্ত্রী অবশ্য এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে সব জানিয়েছি। উনি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন।’’