BJP

BJP: যোগ দিবসে গাছ পুঁতে শ্বাস নিতে চায় বিজেপি, জুনেই উঠবে আন্দোলনের লকডাউন

২৩ জুন থেকে ৬ জুলাই হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন। করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে ‘অন্য ভাবনা’য় বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ১০:৩১
Share:

দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র

২১ জুন থেকে রাজ্য জুড়ে বৃক্ষরোপণ করতে চায় বিজেপি। ভোটে বিপর্যয়ের পর এই প্রথম কোনও রাজ্য স্তরের কর্মসূচি। তার মধ্য দিয়েই যেন দলের দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে বদল আনতে চাইছে গেরুয়া শিবির। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে কার্যত লকডাউন। বিজেপি-র রাজনৈতিক আন্দোলনেও লকডাউন চলছে বলেই রসিকতা শোনা যাচ্ছে দলের অন্দরে। এ বার সেটাও নাকি ভাঙতে চলেছে। ২৩ জুন থেকে টানা কর্মসূচি নিয়েছে দল।

Advertisement

বিধানসভা ভোটের পরে হতাশ কর্মীদের কাজের মধ্যে আনতে বৃক্ষরোপনের মতো অরাজনৈতিক কর্মসূচিকেই হাতিয়ার করতে চান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।

২ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে বলে আন্দোলনে নামতে চেয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেই ভাবে দানা বাঁধেনি সে আন্দোলন। এ বার সেই আন্দোলনকে বুথ স্তরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য বিজেপি। ঠিক হয়েছে রাজ্যে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি চলায় বড় রকমের আন্দোলন কর্মসূচির পথে না হেঁটে জেলায় জেলায় ছোট ছোট বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের নির্দেশিত বিধি-নিষেধ মেনে ছোট জমায়েতের মাধ্যমে হবে আন্দোলন। ইতিমধ্যেই সব জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, যেখানে যে ভাবে সম্ভব বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করতে হবে।

Advertisement

২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাব মেনেই এই দিবসের ঘোষণা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেই থেকে এই দিনটি পালন করে আসছে বিজেপি-ও। এই রাজ্যেও প্রতি বছর যোগ দিবসে বড় জমায়েত করে বিজেপি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলায় এ বার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগ দিবসে গোটা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়েছে। সেই সর্বভারতীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়েই রাজ্যের সংগঠনকে তিনি চাঙ্গা করতে চান বলে দলকে জানিয়েছেন দিলীপ।

বৃহস্পতিবার কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি-র ৩ কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন ও অমিত মালব্যর উপস্থিতি বাংলায় দলের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই ঠিক হয়েছে, ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিন থেকে শুরু হবে আন্দোলন কর্মসূচি। শেষ হবে শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিন ৬ জুলাই। এই সময়ে রাজ্য নেতারাও বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement