CBI

CBI: সিবিআই তদন্ত নিয়ে সংঘাতে নয়া মোড়

সিবিআই তদন্ত নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোদী সরকারের সংঘাত এ বার নতুন মোড় নিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২১ ০৬:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

সিবিআই তদন্ত নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোদী সরকারের সংঘাত এ বার নতুন মোড় নিল।

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে সিবিআই তদন্তের সার্বিক অনুমতিই প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এ বার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে দাবি করল, রাজ্যের এ রকম সীমাহীন ক্ষমতা নেই। কোনও অভিযুক্তকে আড়াল করার জন্য বা রাজনৈতিক স্বার্থে রাজ্য এই ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে না।

তিন বছর আগে, ২০১৮-য় তৃণমূল সরকার রাজ্যে সিবিআই তদন্তের সার্বিক অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এর ফলে প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে সিবিআইকে এখন আলাদা আলাদা ভাবে রাজ্যের অনুমতি নিতে হয়। কেন্দ্র এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, রাজ্য সরকার অনুমতি প্রত্যাহার করার ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু প্রতিটি মামলায় আলাদা ভাবে সেই ক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। তার

Advertisement

জন্য যথেষ্ট ভাল যুক্তি থাকতে হবে। রাজ্য এক সঙ্গে সমস্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের অনুমতি প্রত্যাহার করে নিতে পারে না। দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের ৬ নম্বর ধারায় রাজ্যকে সিবিআই তদন্তের অনুমতি প্রত্যাহারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা কোনওরকম সীমাহীন ‘অমনিবাস’ ক্ষমতা নয়।

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। মোদী সরকার বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে, এই অভিযোগ এনে অন্তত আটটি রাজ্য এই সার্বিক অনুমতি বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ বার কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরে হিংসায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় ফের সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে। সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্য যুক্তি দিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রতিটি এফআইআর দায়ের করার ক্ষেত্রে সিবিআইকে রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে। অন্য দিকে কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাজিও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে দাবি করেছেন, সিবিআই রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গে কয়লা কাণ্ডের তদন্ত করছে।

কয়লা কাণ্ডের ক্ষেত্রে কেন্দ্র যুক্তি দিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই বহু মামলার তদন্ত করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একাধিক রাজ্যে তদন্ত করতে হয়। তাতে কোনও রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয় না বা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতেও আঘাত আসে না। সর্বোপরি কয়লা পাচারের অপরাধ হয়েছে রেলের এলাকায়। সেখানে সিবিআইয়ের ক্ষমতা থেকেই যায়।

আজ এই মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল অভিযোগ তোলেন, সিবিআই ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এফআইআর করে তদন্ত এগিয়েই চলেছে। তাই পরবর্তী শুনানির নির্দিষ্ট দিন ঠিক হোক। বিচারপতিরা জানান, ১৬ নভেম্বর শুনানি হবে। কেন্দ্র অবশ্য তার হলফনামায় দাবি করেছে, সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মামলা খারিজ করে দেওয়া হোক। কারণ রাজ্য সিবিআইকে মামলায় শরিক না করে কেন্দ্রকে শরিক করেছে। কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গে কোনও এফআইআর দায়ের করেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন