একুশের পথে এক তৃণমূল সমর্থক। ছবি: সুমন বল্লভ।
মন্দারমণি চলো
ফুলবাড়ি থেকে যাওয়া কয়েকজন দুপুর থেকেই ঘড়ি দেখছিলেন। কী ব্যাপার! না সকলে নাকি এক দাদার জয় ‘সেলিব্রেট’ করতে দল বেঁধে মন্দারমণি যাবেন। গাড়ি, হোটেল বুক। ‘ক্যাম্প ফায়ার’, সি বিচে নাচ-গানের ব্যবস্থাও করার আস্বাস দিয়েছেন এক দাদা। শিলিগুড়ির এক নেতার অবশ্য মন খারাপ। তা দেখে গাড়িতে ওঠার আগে ফুট কেটেছেন শহর লাগোয়া বিধানসভা এলাকার এক ঠিকাদার, ‘‘তোমরা একজনকে জেতাতে পারলে না তো সেলিব্রেট কী ভাবে করবে! পরের বার চেষ্টা করে দেখো।’’
বাচ্চু কোথায়
মঞ্চে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী ছিলেন। হাজির বিপ্লব মিত্রও। তখনই এক শীর্ষ নেতার গলা শোনা গেল, ‘‘বাচ্চু কোথায়! দিদি খুঁজছেন, বাচ্চু, এই বাচ্চু….।’’ বক্তৃতা দিতে ঘোষণা হল বাচ্চু হাঁসদার নাম। তখন তপনের চৌরঙ্গী মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন। এ বারের ভোটে জিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীও হন বাচ্চু। বাচ্চুবাবু তো এত বড় মঞ্চে বক্তৃতার সুযোগ পেয়ে অভিভূত।
শহর দেখা
জলপাইগুড়ি শহর থেকে ফি বছর যান সমাবেশে। এ বার স্ত্রী-ছেলে নাছোড়বান্দা। ফলে সপরিবারে হাজির। ভিড়ের ঠেলায় অনেক দূরে জায়গায় পেয়েছিলেন। তাতে অবশ্য সুবিধাই হয়েছে। মিটিং শেষ হতেই পৌঁছে গিয়েছেন চিড়িয়াখানায়। সেখানে দু’ঘণ্টা থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। সন্ধ্যা হতেই রাতের ট্রেনে রওনা। বললেন, ‘‘নাম- লিখবেন না। এ বার রথ দেখা-কলাবেচা সবই হয়ে গেল।’’
চিংড়ি ফ্রি
ইলিশের সঙ্গে চিংড়ি ফ্রি! বৃহস্পতিবার সকালে মানিকতলা বাজারে গিয়েছিলেন উদয়ন গুহ। হাজার টাকা কেজি দরে ১১০০ গ্রাম ওজনের একখানি ইলিশ কেনেন। তার পরেই চলে যান পাশের দোকানে চিংড়ি কিনতে। দরদাম করে ২৭৫ টাকায় পাঁচশো গ্রাম চিংড়ি কেনেন। আচমকা সেখানে কেটারিং ব্যবসায় যুক্ত এক ব্যক্তি বলেন সব মাছ আমার। তাই আপনি দাম দিতে পারবেন না। জোরাজুরি করেও লাভ হয়নি। তাই ফ্রিতেই গলদা চিংড়ি নিতে হয়।