ছবি: সংগৃহীত।
পরিদর্শক নিয়োগ, ওয়েবসাইটে রোজকার খতিয়ান দাখিলের মতো বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও মিড-ডে মিল নিয়ে অভিযোগের স্রোত থামছে না। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন, স্কুলপড়ুয়াদের মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে বিধায়কদেরও নজরদারির উপরে জোর দেন তিনি।
স্কুলশিক্ষা দফতরের খবর, স্কুলে দুপুরের খাবার নিয়ে বারে বারেই নানা ধরনের অভিযোগ উঠছে। তার মধ্যে আছে: যত জন পড়ুয়া, মিলের জন্য খাতায়-কলমে তার থেকে সংখ্যাটা অনেক বাড়িয়ে দেখানো, চাল বা ডিম চুরি, ঘেরা পরিচ্ছন্ন জায়গার বদলে পড়ুয়াদের রাস্তায় বা খোলা মাঠে বসিয়ে খাওয়ানো ইত্যাদি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে এই নিয়ে বহু বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ দিকে জেলাশাসকদের নজর দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন। কিছু স্কুলে দুপুরের খাবার নিয়ে অভিযোগের তদন্তও হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সুরাহা বিশেষ হয়নি।
তার পরে মিড-ডে মিল বণ্টনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে খাবারের দৈনিক হিসেব স্কুলশিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলে ঘুরে ঘুরে মিড-ডে মিল বণ্টনে নজরদারি করার জন্য ৭৩১ জন সুপারভাইজার নিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সব ব্যবস্থার পাশাপাশি মিড-ডে মিলে দেওয়া খাদ্যের গুণমান কেমন, সরকারের নির্দিষ্ট ঘোষণাপত্রে স্কুল-কর্তৃপক্ষের তরফে নিয়মিত তা জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি না-হওয়ায় মন্ত্রী চাইছেন, এলাকার বিধায়কেরাও বিষয়টি দেখুন।
‘‘মিড-ডে মিল নিয়ে যা চলছে, তার দিকে বিধায়কদের নজর দিতে হবে। অনেক অভিযোগ আসছে। পড়ুয়াদের বঞ্চিত করে দুপুরের খাবার নিয়ে দুর্নীতি হবে, এটা তা চলতে পারে না,’’ এ দিন বিধানসভায় বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন, যাঁরা এই ক্ষেত্রে দুর্নীতি করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।