রাতের অন্ধকারে হস্টেলের ঘরে ঢুকে এক গবেষক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল খড়্গপুর আইআইটিতে। অভিযুক্ত যুবক আইআইটি-রই সাফাইকর্মী। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই যুবক মেদিনীপুর আদালত থেকে জামিনও পেয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
শুক্রবার ভোর রাতে আইআইটি-র যে মহিলা হস্টেলে শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে, তার পাশের হস্টেলেই সাফাইকর্মীর কাজ করে খড়্গপুর শহরের বি আর নগরের বাসিন্দা কে বিজয়। বছর পঁচিশের ওই যুবক পাঁচিল টপকে পাশের হস্টেলে গিয়ে গবেষক ছাত্রীটির ঘরে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর কথায়, “ওই সাফাইকর্মী গায়ে হাত দিতেই ঘুম ভেঙে যায়। ও পালানোর চেষ্টা করে। বন্ধুদের ফোন করে ডাকতেই ওরা এসে ছেলেটিকে ধরে ফেলে।’’ পরে ওই ছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করলে বিজয়কে গ্রেফতার করা হয়।
আইআইটি চত্বরের নিরাপত্তা এমনিতে আঁটোসাঁটো। উঁচু সীমানা প্রাচীর, প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী, সিসিটিভি সবই রয়েছে। রানি লক্ষ্মীবাঈ, মাদার টেরিজা, সরোজিনী নায়ডু, গোখেল প্রভৃতি হলগুলিতেও (হস্টেল) নিরাপত্তা কর্মী আছেন। তা সত্ত্বেও ওই যুবক মহিলা হস্টেলের ঘরে ঢুকলেন কী করে, সেটাই প্রশ্ন। কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, কাজ শেষের পরে আইআইটি চত্বরেই কোথাও ছিল বিজয়। রাতে মহিলা হস্টেলের নীচু পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে সে। ওই ছাত্রীর ঘরের ছিটকিনিও খারাপ। ফলে সহজেই সে ঘরে ঢুকে যায়।
এই ঘটনার পরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আইআইটি-র ছাত্রীরা। নিগৃহীতা ছাত্রীর কথায়, ‘‘কখনও এমন ঘটেনি। এখন মনে হচ্ছে সত্যিই নিরাপত্তায় ত্রুটি রয়েছে।” রানি লক্ষ্মীবাঈ হলের আর এক গবেষক ছাত্রী অন্বেষা সেনগুপ্তও বলেন, “আইআইটিতে নিরাপত্তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।” নিরাপত্তায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষও। আইআইটির রেজিষ্ট্রার প্রদীপ পাইন বলেন, “এক ছাত্রীর সঙ্গে যা ঘটল, তাতে মানতেই হবে নিরাপত্তায় ফাঁক রয়েছে। সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশও তদন্ত করছে।”