জলপথ হাতে এল শুভেন্দুর

রাজ্যের সমস্ত ফেরিঘাট এবং ঘাটকেন্দ্রিক জলপথ পরিবহণ কেন্দ্রীয় ভাবে পরিবহণ দফতরের নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৬ ০৩:৪৭
Share:

রাজ্যের সমস্ত ফেরিঘাট এবং ঘাটকেন্দ্রিক জলপথ পরিবহণ কেন্দ্রীয় ভাবে পরিবহণ দফতরের নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত কয়েকশো ফেরিঘাটের মধ্যে ৫০টি বড় ঘাটের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে পরিবহণ দফতর কাজ শুরু করবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।

Advertisement

গত ছ’বছরে তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৩০০ জনেরও বেশি যাত্রী মারা গিয়েছেন। ফেরি চলাচল এবং ঘাটগুলি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আরও পেশাদারিত্ব আনার দাবি উঠেছে। গত ৩ জুন টাউন হলে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ফেরিঘাটগুলির নিয়ন্ত্রণ তাঁর দফতরের অধীনে আনার প্রস্তাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী তা গ্রহণ করে মুখ্যসচিবকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মতো গত বুধবার নবান্নের বৈঠকে কেন্দ্রীয় ভাবে পরিবহণ দফতরের হাতে ফেরি চলাচলের ভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্তারা কেরল ঘুরে এসেছেন। সেখানে সরকারি নজরদারিতে কী ভাবে জলপথ পরিবহণ চলে, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাঁরা। কয়েক জনকে বাংলাদেশে গিয়েও জলপথের বিষয়টি দেখে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পরিবহণ দফতরের খবর, কলকাতা ও তার আশপাশে এখন ৭০টি ফেরিঘাট। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ নিগম কলকাতার ফেরি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করলেও জেলাতে ফেরি নিয়ন্ত্রণ করে জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, পরিবহণ দফতরের হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও যাতে স্থানীয় প্রশাসন রাজস্ব না হারায় সে জন্য জেলা পরিষদ বা পুরসভা দফতরের এজেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে। প্রথমে যাত্রী সংখ্যা, রাজস্ব, যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গুরুত্ব বিচার করে সর্বোচ্চ গুরুত্বের ৫০টি ফেরিঘাটের দায়িত্ব পরিবহণ দফতর নেবে। তারা জানিয়েছে, এখন বেঙ্গল ফেরি আইন ও পঞ্চায়েত আইনে ফেরি চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রয়োজনমাফিক আইনের বদল করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement