স্থানীয় সাংসদকে দু’টি কলেজের পরিচালন সমিতির দায়িত্ব দিয়ে ‘নিরপেক্ষতা’ বজায় রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। প্রথমটি জয়পুরিয়া এবং অন্যটি মৌলানা আজাদ কলেজ। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘মৌলানা আজাদে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরকারি প্রতিনিধি করা হবে।’’ অগস্টে জয়পুরিয়া কলেজে শাসক দলের দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল বাধে। প্রহৃত হন এক শিক্ষক। অভিযোগ ওঠে, এর মূলে আছে দুই মন্ত্রীর কাজিয়া। ওই কলেজেরই পরিচালন সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁকে সরিয়ে ওই পদে সুদীপবাবুকে মনোনীত করে শিক্ষা দফতর। তৃণমূলের খবর, ব্যস্ততার কারণে সুদীপবাবু ওই দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না। তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সুদীপদাকেই জয়পুরিয়ার দায়িত্বে রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মৌলানা আজাদেও।’’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ২০১১-র পর থেকে ওই কলেজে পরিচালন সমিতি ছিল না। সম্প্রতি সেখানে সমিতি গঠন করে সভাপতি করা হয়েছে সুদীপবাবুকে। সেই সঙ্গে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবেও তাঁকে মনোনীত করা হচ্ছে বলে এ দিন জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী।