(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরূপ বিশ্বাস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
যুবভারতীর ঘটনার পর তিনি ‘চাপে’ আছেন। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্নে পরপর দু’টি সরকারি বৈঠকে। প্রথম বৈঠক শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ পরে হাজির হন তিনি। দ্বিতীয়টিতে ছিলেন গোড়া থেকেই।
নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জোড়া বৈঠকে অরূপের সঙ্গে আলাদা করে কোনও কথা হয়নি মমতার। সরাসরি তাঁরে উদ্দেশ্য করে মমতা কিছু বলেনওনি। অরূপ চুপচাপ ছিলেন দুই বৈঠকেই। জানিয়েছেন উপস্থিত এক আধিকারিক।
শনিবারের ঘটনার পর দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যম কলকাতা শহরকে কাঠগড়ায় তুলেছে। জল্পনা তৈরি হয়েছিল, অরূপকে ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কি না তা নিয়েও! এই পরিস্থিতিতেই সোমবার নবান্নের বৈঠকে দেখা গেল তাঁকে।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রথম বৈঠকটি ছিল ইমামদের সঙ্গে। আগামী ২-৫ জানুয়ারি হুগলির পান্ডুয়ায় বিশ্ব ইজ়তেমা অনুষ্ঠানের জন্য। নানা দেশ থেকে বহু মানুষ আসবেন। অনুমান ১৮ থেকে ২০ লাখের জমায়েত হতে পারে বলে ইমামদের মত। এই বিষয়টি নিয়ে সোমবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে অরূপ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম, জাভেদ খান, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ছিলেন হুগলির প্রশাসনিক কর্তারাও।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা আসবেন তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে এত বড় অনুষ্ঠান নিয়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেগুলি দেখতে হবে। পর্যাপ্ত ভলান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবক) রাখতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনও সমস্যা না হয়।’’ দ্বিতীয় বৈঠকের আলোচ্যসূচি ছিল, আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা। শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভাবে ইজ়তেমার আয়োজন করার জন্য সমস্ত রকমের সহায়তা করতে হুগলি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপে আগামী ১০ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। ১৪ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তির দিন পুণ্যস্নানের প্রধান তিথি। এই কদিন গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীরা পুণ্যস্নান করবেন। তাই একমাস আগে মুখ্যমন্ত্রী সেই মেলার প্রস্তুতি বৈঠক করে রাখলেন।