এক মঞ্চে রাজ ঠাকরে এবং উদ্ধব ঠাকরে। ছবি: পিটিআই।
আগামী ১৫ জানুয়ারি বৃহন্মুম্বই পুরসভার (বিএমসি) নির্বাচন হবে। গণনা ১৬ জানুয়ারি। সোমবার দেশের বৃহত্তম (জনসংখ্যা এবং বাজেটের নিরিখে) পুরসভার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, বিএমসির সঙ্গে সে রাজ্যের আরও ২৮টি পুরসভার ভোট হবে।
২০২২ সালের জুনে শিবসেনার ভাঙনের পরে এই প্রথম বার বিএমসির ভোট হতে চলেছে। এর আগে ২০১৭ সালে শেষ বার বিএমসির ভোট হয়েছিল। ২২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮৪টিতে জিতে বৃহত্তম দল হয়েছিল উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন অবিভক্ত শিবসেনা। ২০১৯ পর্যন্ত বিজেপির সমর্থনে পুরসভা চালালেও সে বছর বিধানসভা ভোটের পর এনডিএ ছেড়েছিলেন উদ্ধব। তার পর কংগ্রেস এবং এনসিপির সমর্থনে পুরসভা চালাচ্ছিল তাঁর দল। কিন্তু মেয়াদ ফুরোনোর পরে ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।
বিএমসির ভোটে এ বার মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন এনডিএর তিন দল বিজেপি, শিন্দেসেনা এবং অজিত পওয়ারের এনসিপির জোট হতে চলেছে বলে ইতিমধ্যেই বার্তা মিলেছে। তবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র মরাঠি সংস্করণ মহাবিকাশ আঘাড়ীর (এমভিএ) ‘ভবিষ্যৎ’ এখনও স্পষ্ট নয়। গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-এনসিপির (শরদ) সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে ভাল ফল করেছিল উদ্ধবসেনা। সে রাজ্যের ৪৮টি আসনের মধ্যে মহাবিকাশ আঘাড়ী জিতেছিল ৩০টিতে। বিজেপি-শিন্দেসেনা-এনসিপির (অজিত) ‘মহাজুটি’র ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ১৭টি। কিন্তু নভেম্বরে বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হয় বিরোধী জোট। এর পরেই উদ্ধবের দলের অন্দরে কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়ার জন্য দাবি উঠেছিল বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মরাঠি ভাষা রক্ষা এবং হিন্দির ‘আগ্রাসন’ রোখার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কাছাকাছি এসেছেন উদ্ধব এবং তাঁর তুতো ভাই রাজ। প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শ সামনে রেখে উদ্ধবের শিবসেনা (ইউবিটি) এবং রাজের ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’র (এমএনএস) ঐক্যের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিএমসির ভোটের আগেই তা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।