শিক্ষক-নিগ্রহের পরে বাইরের লোক ঠেকাতে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ছবিতে কালি ছিটোনোর ঘটনার পরেই বহিরাগত-বিতর্ক এড়াতে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ বিক্ষোভ দেখাতে বা দাবি জানাতে চাইলে পরিচয়পত্র দেখিয়ে সেটা করতে হবে।
একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ছাড়া অন্য যে-কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও রকম দাবিদাওয়া বা অভিযোগ জানাতে চাইলে তা জানাতে হবে চিঠি, মেল বা ফ্যাক্স মারফত। যদি সেই ব্যক্তি বা সংগঠন-প্রতিনিধি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা কোনও কলেজেরও হন, তাঁর বা তাঁদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবিতে কেউ বা কারা কালি ছিটিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি-র সৌরভ অধিকারীর অভিযোগ, কালি লেপেছে কিছু বহিরাগত এসএফআই-কর্মীই। গত ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-নিগ্রহের ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছিল বহিরাগতদের বিরুদ্ধেই।
উপাচার্য সুগত মারজিত মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলা এড়াতেই পরিচয়পত্র দেখানোর ব্যবস্থা কঠোর ভাবে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা বা কর্মচারীরা যদি বিক্ষোভ দেখান বা কোনও দাবিপত্র দিতে আসেন, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যিক।’’
কর্তৃপক্ষ এত দিন পরিচয়পত্রের উপরে এ ভাবে জোর দেননি কেন?
‘‘কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস এমন একটা জায়গা, সেখানে সব সময় পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ সম্ভব নয়। তবে এ বার থেকে আমরা বিষয়টিতে জোর দিচ্ছি,’’ বলেন উপাচার্য।