সুজানাকে জেরায় নাজেহাল পুলিশ

গোয়েন্দাদের জেরার মুখেও মচকাচ্ছে না জামাত জঙ্গি সুজানা বেগম ওরফে সুরজিয়া। তদন্তকারীদের হরেক প্রশ্নে তার উত্তর একটাই ‘জানি না।’ কার্যত নাজেহাল গোয়েন্দাকর্তারা জানাচ্ছেন, কোলের বাচ্চাকে কাঁদতে দেখে বর্ধমান-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে ধৃত রাজিয়া, আলিমারা ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু সুজানা সবেতেই অবিচল। তার সন্তানকে সময়মতো খাওয়ানো, ডাক্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাচ্চার খেলার সরঞ্জাম জোগাড় করে দিয়েছে পুলিশ। জেরার সময়টুকু ছাড়া বাচ্চার সঙ্গেই থাকছে সুজানা।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪৪
Share:

গোয়েন্দাদের জেরার মুখেও মচকাচ্ছে না জামাত জঙ্গি সুজানা বেগম ওরফে সুরজিয়া। তদন্তকারীদের হরেক প্রশ্নে তার উত্তর একটাই ‘জানি না।’ কার্যত নাজেহাল গোয়েন্দাকর্তারা জানাচ্ছেন, কোলের বাচ্চাকে কাঁদতে দেখে বর্ধমান-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে ধৃত রাজিয়া, আলিমারা ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু সুজানা সবেতেই অবিচল। তার সন্তানকে সময়মতো খাওয়ানো, ডাক্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাচ্চার খেলার সরঞ্জাম জোগাড় করে দিয়েছে পুলিশ। জেরার সময়টুকু ছাড়া বাচ্চার সঙ্গেই থাকছে সুজানা।

Advertisement

মুখ কি একেবারেই বন্ধ রেখেছে সুজানা?

পুলিশ সূত্রের খবর, মাঝেমধ্যে দু’একটা কথা অবশ্য সে বলছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুজানা তাঁদের কাছে দাবি করেছিল, মেঘালয়ে যাওয়ার জন্য গুয়াহাটি থেকে সে বাসে উঠছিল। তবে, তার কথায় পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না পুলিশ।

Advertisement

অসমে জিহাদিদের ‘মহিলা বাহিনী’ তৈরির ইঙ্গিত দিন কয়েক আগে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। পুলিশের বক্তব্য, গুয়াহাটির বাস টার্মিনাস থেকে ধরা পড়া ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জামাত জঙ্গি শাহনুর আলমের স্ত্রী সুজানা সম্ভবত ওই বাহিনীর প্রধান মুখ।

পুলিশ সূত্রের খবর, সুজানার মোবাইল ফোনের তথ্য ঘেঁটে জানা গিয়েছে, রাজিয়া ও আলিমার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ছোট অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সুজানা। বর্ধমানে বিস্ফোরণের পরপরই সুজানাকে গুয়াহাটির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে মেঘালয়ে পালায় শাহনুর। তার মোবাইলের ‘টাওয়ার লোকেশন’ দেখে মেঘালয়ে হানা দিলেও অবশ্য শাহনুরের হদিস মেলেনি। পুলিশের আশঙ্কা, এক নয় দক্ষিণ ভারত অথবা মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়েছে শাহনুর। এ নিয়ে বিএসএফ, মেঘালয় পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।

অসমের বরপেটার চেনিমারিতে সুজানার স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ক্লাসে চুপচাপই থাকত সে। এনআইএ গোয়েন্দাদের শাহনুরের বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলে বহু দিন ধরে পরিবারের সঙ্গে থাকে না। তবে বর্ধমানে বিস্ফোরণের পরে স্ত্রীকে নিয়ে বরপেটার চতলার ওই বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু পর দিনই শাহনুররা জানায়, তারা চেনিমারিতে সুজানার বাড়িতে যাচ্ছে। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জানতে পারে, ওই বাড়িতে বর্তমানে কেউ থাকে না। সুজানার বাবা গুয়াহাটিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ভাই পড়াশোনা করে গুয়াহাটিতে। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা জানায়, দু’মাস আগে মা মারা যাওয়ার পরে এক বার সুজানা ওই গ্রামে গিয়েছিল। তার পর ফের উধাও হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন